ফাইল চিত্র।
গোটা উপমহাদেশের নিরাপত্তার জন্যই আফগানিস্তানের সুস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে আজ এ কথা জানালেন তিনি।
আজ নয়াদিল্লিতে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে উদ্বোধন হল ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’-এর। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষে দু’দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে মেলবন্ধনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মন্ত্রী মাহমুদ। পরে তাঁকে চলতি আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “আমরা কাবুলের দিকে নজর রাখছি। সে দেশের সুস্থিতি গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ঘটনা হল অন্যতম মুসলিম প্রতিবেশী দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে এখনও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সে ভাবে বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। কেবল শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে ঢাকা জানিয়েছে, তারা অপারগ। কারণ প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভার সামলাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের মদতে পুষ্ট জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শুরু হলে তার প্রভাব পড়বে ভারত ও বাংলাদেশেও।
গত এক বছরে দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনান্তর হতে দেখা গিয়েছে বার বার। পেঁয়াজ রফতানি থেকে সিএএ-এনআরসি সংক্রান্ত ভারতীয় ভাষ্য দুরত্ব তৈরি করেছিল ঢাকা এবং নয়াদিল্লির মধ্যে। এর পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরে ভারত প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারেনি বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতে দেশগুলিকে। থমকে গিয়েছে ভ্যাকসিন-মৈত্রী। ফলে বাংলাদেশের ১০ লক্ষের বেশি মানুষ ভারতের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নিয়ে বসে থেকেছেন পরেরটির জন্য। কিন্তু বার বার চাওয়া সত্ত্বেও আর ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি মোদী সরকারের। আজ অবশ্য এই নিয়ে কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি বাংলাদেশি মন্ত্রীকে। বরং তিনি বলেছেন, “ভারতের ঘরোয়া বাধ্যবাধকতা এবং অগ্রাধিকারের বিষয়টা আমি বুঝি। তারা যে আমাদের প্রথম দফার প্রতিষেধক দিয়েছিলেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমাদের কোনও অসুবিধা হয়নি। কারণ কোভ্যাক্স ব্যবস্থার মাধ্যমে জাপানের থেকে আমরা ওই টিকা পেয়েছি।”