Bangladesh

Bangladesh: কোভিডে মৃত্যু শূন্যে নামাতে কর্মসূচি ঢাকার

উপমহাদেশে বাংলাদেশেই প্রথম ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২১ ০৬:২৬
Share:

শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।

আগামী দু’মাস, অর্থাৎ সামনের বছরের জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নামাতে চায় শেখ হাসিনা সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি পুরোদমে চলছে। এই গতিতে টিকাকরণ চললে জানুয়ারির মধ্যে ১২ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন সরকার দিয়ে উঠতে পারবে বলে জানান তিনি, যা তাঁদের আপাতত লক্ষ্যমাত্রা। ইতিমধ্যে ৭ কোটি ডোজ় টিকাকরণ করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

মালেক জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের মতে ১২ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন দেওয়া হলে বাংলাদেশে কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর হার শূন্যে নামতে পারবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের সরবরাহে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২১ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন নানা মাধ্যমে কিনে তাঁরা মজুত করেছেন। সেখান থেকে তিন কোটি ডোজ় করে ভ্যাকসিনের চালান বার করা হচ্ছে।

উপমহাদেশে বাংলাদেশেই প্রথম ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। ফাইজ়ারের ভ্যাকসিন আপাতত প্রথম ডোজ় হিসেবে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণির উপস্থিতিতে ঢাকার একটি স্কুলে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরে দেশের অন্যান্য শহরের স্কুলেও পর্যায়ক্রমে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। চার কোটি ডোজ় টিকা এই উদ্দেশ্যে আলাদা করে রেখেছে সরকার। প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অক্টোবরেই বাংলাদেশে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই এই টিকাকরণ কর্মসূচিটি নেওয়া হয়।

Advertisement

রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেক জানিয়েছে, কোভিড যখন মারাত্মক আকার নিয়েছিল, তখনও দেশের কোথাও এই রোগের চিকিৎসার ওষুধ অমিল হয়নি। গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসায় কোনও সমস্যা হয়নি। বাংলাদেশে তৈরি ওষুধেই দেশের ৯৮ শতাংশ চাহিদা মিটেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। মালেক জানান, বাড়তি উৎপাদন রফতানি করে বিপুল বিদেশি মুদ্রা আয় করেছে। এখন ১৪২টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হচ্ছে। তৈরি পোশাকের পরেই ওষুধ শিল্প দেশের সব চেয়ে বড় বিদেশি মুদ্রা আয়ের উৎস হয়ে উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement