আবু বকর আল বাগদাদি ও ওসামা বিন লাদেন
যে পরিণতি ঘটেছিল আয় কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সেই একই ঘটনা ঘটল আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির ক্ষেত্রেও। বাগদাদির দেহাংশ সমুদ্রেই সমাধি দিল মার্কিন সেনাবাহিনী।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন নেভি সিল। লাদেনকে খতম করার পর তার দেহ কখনই প্রকাশ্যে আনেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বরং জানানো হয়, তা সমুদ্রে সমাধি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই একই পরিণতির কথা বলা হল এক সময় আল কায়দা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইরাক ও সিরিয়ায় বেড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির ক্ষেত্রেও। মার্কিন সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, বাগদাদির দেহাংশ সমুদ্রে সমাধিস্থ করা হয়েছে। তবে কোথায় তা সমাধিস্থ করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও তথ্যই দেয়নি ওয়াশিংটন। মার্কিন সেনাকর্তা মার্ক মিলি বলেন, ‘‘বাগদাদির দেহাংশের শেষকৃত্য উপযুক্ত ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ’’ সশস্ত্র লড়াইয়ে নিহতদের ক্ষেত্রে মার্কিন সেনার যে নিয়ম রয়েছে সেই অনুযায়ীই সমাধি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিলি।
মৃত্যুর আগে সিরিয়ার ইডলিব প্রদেশের বারিশা গ্রামে আস্তানা গেড়েছিল আইএস প্রধান। সেখানেই অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও মার্কিন বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় আইএস জঙ্গিদের। তাদের বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়। কোণঠাসা হয়ে পালানোর চেষ্টাও করে বাগদাদি। কিন্তু, সফল হয়নি। আইএসের ওই ঘাঁটিতে একটি সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়ে বাগদাদি। কিন্তু, ‘টার্গেট’-এর পিছু নেন মার্কিন বাহিনীর সদস্যরাও। শেষে সুইসাইড ভেস্ট (বোমা বাঁধা পোশাক)-এর মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায় বাগদাদি। সঙ্গে ছিল তার তিন সন্তানও। বিস্ফোরণে সকলের দেহই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ডিএনএ মেলাতে মৃত্যুর আগে বাগদাদির অন্তর্বাস ‘চুরি’ করেছিলেন কুর্দ গুপ্তচর
আরও পড়ুন: আল বাগদাদির খোঁজ দিয়েছিল তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী
ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহাংশ সংগ্রহ করে তার ডিএনএ পরীক্ষাও করে মার্কিন বাহিনী। তাতেই আইএস জঙ্গি প্রধানের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ওয়াশিংটন। এর পর তার দেহ উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় সমাধি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল ৯/১১ হামলার মূলচক্রী, আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ক্ষেত্রেও।