monkey

সাক্ষী দিতে আনা হয়েছিল, তার মধ্যেই পালাল একটি বাঁদরছানা, বাঁদরামো দেখে থ করাচির আদালত

১৪টি বাঁদরছানা-সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল করাচির পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়, সাক্ষী হিসাবে আনা হয় বাঁদরছানাগুলিকে। সেখানেই একটি ছানা পালিয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

করাচি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১১:৫৯
Share:

— প্রতীকী ছবি।

তাদের সাক্ষী দিতে আনা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু ভিড়ের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে গেল একটি বাঁদরছানা। আর সেই ছোট্ট বাঁদরকে নিয়ে ধুন্ধুমার বাধল পাকিস্তানের করাচির আদালত চত্বরে। জানা গিয়েছে, আমের ঝুড়িতে করে ১৪টি বাঁদরছানা পাচার করার সময় ধরে ফেলে পুলিশ। আদালতে পেশ করতেই বাঁদরছানাগুলিকে আনা হয়েছিল। কিন্তু সাক্ষী দেওয়ার বদলে পুলিশ এবং আদালতকর্মীদেরই নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল একটি বাঁদরছানা।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার আমের ঝুড়িতে করে ১৪টি বাঁদরছানা পাচার করার অভিযোগে করাচির শহরতলি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের দু’জনকে করাচির আদালতে তোলা হয়। সেই সময় আনা হয় বাজেয়াপ্ত করা বাঁদরছানাগুলিকেও। কিন্তু অভিযোগ, অমানবিক ভাবে বাঁদরছানাগুলিকে আদালতে আনা হয়েছিল। কোনও ক্রমে ফাঁক পেয়ে একটি বাঁদরছানা পালায়। তাতেই হুলস্থুল পড়ে যায় আদালত চত্বরে। বাঁদরছানাটি লাফিয়ে লাফিয়ে দেওয়াল টপকে, ছাদ পেরিয়ে গিয়ে ওঠে একটি গাছে। তাকে ধরতে পুলিশকর্মী গাছে ওঠার চেষ্টা করতেই আবার পালায় বাঁদর। এ বার চলে যায় কার্নিশের একেবারে কোণে। আর বাঁদরছানার দৌরাত্ম্য দেখতে ভিড় জমে যায় চারপাশে। লাটে ওঠে আদালতের কাজকর্ম।

পাকিস্তানে বন্য জন্তু রাখা বেআইনি। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পশুপাখি বাড়িতে রাখার চলও বেশ পুরনো। রাস্তায় মাদারিরা খেলা দেখানোর জন্যেও অনেক সময়ই বাঁদর রাখেন। তা দিয়েই পেট চলে তাঁদের। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাঁদরদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চুরির কাজেও লাগাচ্ছে। বাঁদরকাণ্ড থামলে আদালতে এই যুক্তি দেয় পুলিশ। সওয়াল-জবাব শোনার পর শুক্রবার আদালত পাচারের অভিযোগে ধৃত দু’জনকে এক লক্ষ পাকিস্তানি টাকা জরিমানা করে। বাঁদরছানাগুলিকে করাচি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দেয় কোর্ট।

Advertisement

যদিও আদালতের এই নির্দেশের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের পশুপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, পাকিস্তানের চিড়িয়াখানাগুলির অবস্থা শোচনীয়। সেখানে রাখলে বাঁদরগুলির মৃত্যু নিশ্চিত। ২০২০ সালে অব্যবস্থার কারণে ইসলামাবাদের চিড়িয়াখানা বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement