Policeman's unique protest

‘চোর ধরি আর তোমরা ঘুষ খেয়ে ছেড়ে দাও’! রাস্তায় শুয়ে বেনজির প্রতিবাদ জালন্ধরের পুলিশকর্মীর

এক যুবককে গ্রেফতার করে থানায় এনেছিলেন ওই পুলিশকর্মী। পরে থানায় ফিরে দেখেন, ধৃত নেই, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই হাইওয়ে আটকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেনজির প্রতিবাদের ঘটনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জালন্ধর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১১:০৭
Share:

রাস্তায় শুয়ে বেনজির প্রতিবাদ পুলিশকর্মীর। ছবি: সংগৃহীত।

ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে বেনজির প্রতিবাদ দেখালেন এক পুলিশকর্মী। ব্যস্ত মহাসড়ক আটকে শুয়ে পড়লেন রাস্তায়। চিৎকার করে জানাতে থাকলেন, ‘‘আমি চোর ধরি, আর আমার থানা পয়সা খেয়ে তাঁদের ছেড়ে দেয়!’’ ঘটনাস্থল পঞ্জাবের জালন্ধরের ভোগপুর। ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের সর্বত্র। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা স্বীকার করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেও এ নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পুলিশ প্রশাসন।

Advertisement

রাজপথে বেনজির প্রতিবাদ পুলিশকর্মীর। ভোগপুরের পঠানকোট হাইওয়ের উপর দায়িত্ব ছিল ওই পুলিশকর্মীর। শনিবার তিনিই হাইওয়ে আটকে আড়াআড়ি শুয়ে পড়েন রাস্তায়। তার আগে দড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দেন তিনি। এর ফলে আটকে যায় হাইওয়ে। জমতে থাকে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। তাঁকে রাস্তা থেকে ওঠাতে ঘেমেনেয়ে একশা সহকর্মীরা। এমনকি তাঁকে লাথি মেরে রাস্তা থেকে তোলার চেষ্টাও করেন তাঁর এক সহকর্মী। গোটা ঘটনাই রেকর্ড হয়েছে ক্যামেরায়। তার পর তা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের আকাশে।

সূত্রের খবর, ওই হোমগার্ড এক জনকে গ্রেফতার করেছিলেন। ধৃত ব্যক্তিকে ভোগপুর থানায় নিয়ে যান তিনি। পরে যখন তিনি আবার থানায় ফেরেন, দেখেন যাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন, তিনি নেই। প্রশ্ন করে জানতে পারেন, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতেই খেপে যান ওই পুলিশকর্মী। নিজের কাজের জায়গা পঠানকোট হাইওয়েতে ফিরেই রাস্তা আটকে শুয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন সহকর্মীরা। কিন্তু পারেননি। শেষ পর্যন্ত রাস্তা থেকে তাঁকে ওঠাতে এক সহকর্মীকে লাথি মারতে দেখা যায়। তবুও ওঠানো যায়নি প্রতিবাদী পুলিশকর্মীকে।

Advertisement

ভোগপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুখজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘একটি ঝগড়ার ব্যাপারে এক যুবককে গ্রেফতার করে এনেছিলেন ওই হোমগার্ড। ধৃত ব্যক্তি জামিনের আবেদন করেন, তার পর থানা থেকেই তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।’’ প্রতিবাদী হোমগার্ডকে রাস্তা থেকে ওঠাতে সহকর্মীর লাথি মারার বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন ওই আধিকারিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement