আয়মান আল জওয়াহিরি ফাইল চিত্র।
ওসামা বিন লাদেন থেকে আবু বকর আল-বাগদাদি, বায়তুল্লা মেহসুদ থেকে আবু মুসাব আল-জারকোয়াই। গত দু’দশকে আমেরিকা সেনার সফল ‘সন্ত্রাসদমন অভিযানের’ পর বারে বারেই উঠেছে প্রশ্নটা। মঙ্গলবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টুইট করে ড্রোন হামলায় আল কায়দার শীর্ষনেতা আয়মান আল জওয়াহিরির মৃত্যুর খবর জানানোর পর সেই প্রশ্নটাই উঠল নতুন করে— কাবুলের অভিজাত মহল্লায় লাদেনের উত্তরসূরির লুকিয়ে থাকার খবর কে দিল পেন্টাগনকে?
আল কায়দার এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযানে পাক তালিবান বা হক্কানি-বিরোধী আফগান তালিবানের একাংশের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এখন আফগানিস্তানে তালিবান নেতা তথা উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী মোল্লা বরাদরের অনুগামীদের সঙ্গে সিরাজুদ্দিন হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্ঘাত ক্রমশই বাড়ছে। আর তালিবান প্রধানমন্ত্রী হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার সরকারে জওয়াহিরির মূল ‘ঘুঁটি’ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন।
সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন, আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব এবং আমির খান মুত্তাকিও। তাঁরা দু’জনেই পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ হক্কানির বিরোধী হিসেবে পরিচিত। প্রয়াত তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে ইয়াকুব মূলত হক্কানি গোষ্ঠীর বিরোধিতার কারণেই সংগঠনের প্রধান হতে পারেননি। অন্য দিকে, কাতারে শান্তি আলোচনায় তালিবান প্রতিনিধিদলের সদস্য মুত্তাকির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র ‘যোগাযোগ’ রয়েছে বলে ‘খবর’।