—ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা)-কে ২৬টি এবং ১৪টি ছোট শরিক দলকে ৬টি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা জানাল শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ। রবিবার বিকেলে আওয়ামি লিগের তরফে জানানো হয়, এই ৩২ আসনে তাদের কোনও প্রার্থী থাকছে না।
দলের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া রবিবার সাংবাদিকদের জানান, জোটশরিক ছোট দলগুলি আওয়ামী লিগের নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া আসনগুলিতে আওয়ামি লিগের প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের কাছে আওয়ামি লিগের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ দলগত ও জোটগত ভাবে অংশগ্রহণ করবে, এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছিল। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলসমূহ বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের নির্বাচনী প্রতীক কিংবা তাদের স্ব-স্ব দলের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে এবং এ বিষয়টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত ভাবে নিষ্পত্তি করা হবে। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত আসনগুলোতে জোটের প্রার্থী থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যাহার করা হল।’’
যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক রবিবার জানান, ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৩টিতেই লড়াই করবে তাদের দল। আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট করা কিংবা আসন সমঝোতার বিষটিও খারিজ করে দেন তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, কিছু আসনের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল নেওয়া হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে গণনা। প্রধান বিরোধী দল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামি নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নেতৃত্বে কোনও সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হলে তারা অংশ নেবে না।
এর আগে শরিকদের জন্য মাত্র সাতটি আসন ছাড়ার কথা জানিয়ে হাসিনার দল বলেছিল, “ওঁদের (শরিকদের) বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে।” তবে এই নিয়ে শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। বেশ কিছু আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দেওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে অন্য দলগুলির জন্য হাসিনার দলের ৩২টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।