প্রতীকী ছবি।
সামনেই বড়দিন। প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে বিদেশ-বিভুঁইয়ে পাড়ি দিচ্ছেন অনেকেই। আর তা করতে গিয়েই অষ্ট্রেলিয়া সরকারের চোখরাঙানি সহ্য করতে হল ভারতের সেনাবাহিনীরএক প্রাক্তন কর্মীকে।
কিন্তু তাঁর দোষটা কোথায়?
টুইটারে বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছেন ব্রায়ান্না বেল নামের অষ্ট্রেলিয়ারই ব্রিসবেন শহরের এক মহিলা। ব্রায়ান্নার কথা অনুযায়ী,ওই ব্যক্তিটির নাম শুভজিত। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন শুভজিত। বড়দিনের ছুটিতে মাত্র দু'সপ্তাহের জন্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে একটি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু অষ্ট্রেলিয়া সরকারের অসুবিধা শুভজিতকে নিয়ে নয়। আপত্তি হাঁটতে-চলতে অক্ষম শুভজিতের হুইলচেয়ার নিয়ে। হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন বলেই শুভজিতকে টুরিস্ট ভিসা দেওয়া যাবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অষ্ট্রেলিয়া সরকারের তরফে। এমনকি এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘আপনার এই হুইলচেয়ার আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’
টুইটারে ব্রিসবেনের বাসিন্দা ব্রায়ান্না বেল লিখছেন, ‘‘দু’সপ্তাহের ছুটি কাটাতে কেবলই টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ভ্রমণ বীমাও রয়েছে। সেনাবাহিনীতে কাজ করার সময় তাঁর প্যারাপ্লেজিয়া হয়। তা বলে অষ্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ব্যবহার করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছেও তাঁর নেই।’’
সেনাবাহিনীতে কাজ করার সময় প্যারাপ্লেজিয়া হয় শুভজিতের। অর্থাৎ পক্ষাঘাত হয় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। আর তার জন্যই হুইলচেয়ারের সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করতে হয় শুভজিতকে।
তবে ব্রায়ান্না নামের ওই মহিলা এক্কেবারে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন বলেই এমন বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হতে হল শুভজিতকে। ব্রায়ান্না লিখছেন, ‘‘কেবল একটা হুইলচেযারের সাহ্য়্য নিতে হয় বলেই শুভজিতের সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ। অষ্ট্রেলিয়া ওঁকে ভিসা দিল না, কারণ শুভজিতের হুইলচেয়ার অষ্ট্রেলিয়া সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটা বোঝা হয়ে যাচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: সুদিন শেষ! আর্থিক তছরুপ করে আর ইংল্যান্ডে গিয়ে লুকনো যাবে না
আরও পড়ুন: এই বিমান কি সত্যিই হিরে খচিত? উত্তর দিল এমিরেটস
টুইটারে প্রচুর মানুষ শেয়ার করেছেন ব্রায়ান্না বেলের ওই টুইট। এমনকি শুভজিতের স্ত্রী-ও শেয়ার করেছেন ব্রায়ান্নার ওই টুইট।
(সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)