ফাইল চিত্র
হামলার নিশানা থেকে বাদ পড়ছে না হাসপাতালও। গত দশ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় মারা গিয়েছেন পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এ বার দেশের উত্তরাংশে আফরিন শহরের অন্যতম বড় একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের। আহতের সংখ্যা ২৩। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আহতদের অনেকেই আশঙ্কাজনক।
ব্রিটেনের একটি মানবাধিকার সংস্থা জানাচ্ছে, আজ পর পর দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে আফরিন শহরে। হামলার মূল নিশানায় ছিল সেখানকার আল-শিফা হাসপাতাল। মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় হাসপাতালের পলিক্লিনিক বিভাগ, জরুরি বিভাগ ও ডেলিভারি রুমগুলি। নিহতদের মধ্যে এক চিকিৎসক, হাসপাতালের তিন জন কর্মী, দু’জন মহিলা ও দু’টি শিশু রয়েছেন। মারা গিয়েছে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন এক বিদ্রোহী কমান্ডারও।
আপাতত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ওই হাসপাতালের। মূলত আমেরিকা আর রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া অনুদানেই চলে এই আল-শিফা হাসপাতাল। সেখানে ভর্তি রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করাও শুরু হয়েছে।
কোন গোষ্ঠী এই হামলার পিছনে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০১৮ সাল থেকে আফরিন শহর তুরস্ক সমর্থিত সিরীয় যোদ্ধাদের দখলে রয়েছে। স্থানীয় কুর্দিশ গোষ্ঠীকে উৎখাত করে গোটা এলাকার দখল নিয়েছিল তুরস্ক। তার পর থেকেই ওই এলাকায় হামলা প্রায় রোজকার ঘটনা। আঙ্কারার তরফে কুর্দদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। কুর্দ নেতৃত্বাধীন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’ বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, উত্তর আলেপ্পো থেকে হামলা হয়েছে আজ। যেখানে সিরিয়া সরকার সমর্থিত সামরিক বাহিনীই মূলত সক্রিয়। গত বৃহস্পতিবার বিরোধীদের দখলে থাকা ইদলিব এলাকায় সিরীয় সরকারি বাহিনীর বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের।