—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাস লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে। এই হামলার জেরে ইরানের সেনাবাহিনীর এক শীর্ষকর্তা-সহ মোট ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ইজ়রায়েল অবশ্য এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। তবে ইরান এর নেপথ্যে তেল আভিভের হাতই দেখছে।
ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত অবশ্য নতুন নয়। গাজ়াকে কেন্দ্র করে ইজ়রায়েল-হামাস লড়াই শুরু হওয়ার পর ওই সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। কারণ, এই লড়াইয়ে সরাসরি প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি, যারা ইতিমধ্যেই হামাসের পাশে দাঁড়িয়ে পশ্চিম এশিয়ায় একের পর এক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে, তাদেরও সমর্থন করেছে ইরান। পাল্টা সিরিয়া এবং ইরানের নির্দিষ্ট এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলও।
পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ সংক্রান্ত কাজে বিশেষজ্ঞ ব্রিটেনের সংস্থা সিরিয়ান অবজ়ারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দূতাবাসে হামলার জেরে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজা জ়াহেদি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হাদি হাজি রহিমি-সহ মোট সাত জন পদস্থ আধিকারিক। বাকিদের মধ্যে দু’জন সিরিয়া এবং এক জন লিবিয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সিরিয়ার ইরানি রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবরি অবশ্য জানিয়েছেন, হামলায় তাঁদের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলার বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, সোমবার এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থেকে দূতাবাস লক্ষ্য করে পর পর ছ’টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। হামলার পর ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লা ইজ়রায়েলকে সতর্ক করে হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছে, তাদের এই মূল্য চোকাতে হবে। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদন অনুসারে, হামলার পরেই ভেঙে পড়ে দূতাবাসের সামনের অংশ। ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের উদ্ধার করতে পৌঁছন সিরিয়ার আপৎকালীন বিভাগের কর্মীরা
এই হামলার জেরে পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। সে ক্ষেত্রে ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত কেবল গাজ়া ভূখণ্ডেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়বে পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও। এর আগে গত এক সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে হামলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আশাদ ইরান-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।