—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে আমেরিকায় গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের। তবে এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি ভারত সরকার। সলমন খানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে গোল্ডির বিরুদ্ধে। ভারতের অনুরোধে তার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল ইন্টারপোল। কানাডার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকাতেও নাম রয়েছে গোল্ডির। তার সঙ্গে খলিস্তানি জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলেও দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেনসোর ফেয়ারমন্ট অ্যান্ড হোল্ট অ্যাভিনিউ এলাকায় গোল্ডিকে খুন করেছে তার বিরোধী গ্যাংস্টার আর্শ দাল্লা ও লখবীরের দল।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হঠাৎই ওই হোটেলে এসে গুলি ছুড়তে শুরু করে এক দল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। আরও এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হন।
পঞ্জাবের এক পুলিশকর্মীর ছেলে গোল্ডির প্রকৃত নাম সতিন্দরজিৎ সিংহ। প্রথমে পঞ্জাবের স্থানীয় অপরাধী গোষ্ঠীগুলির দলাদলিতে জড়িয়ে পড়ে সে। তার পরে ধীরে ধীরে আরও বড় মাপের অপরাধ চক্রে যুক্ত হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আরও অনেক পঞ্জাবি গ্যাংস্টারের মতো আশ্রয় নেয় উত্তর আমেরিকায়। আপাতত তিহাড় জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে সংবাদের শিরোনামে আসতে শুরু করে গোল্ডি। গোয়েন্দাদের দাবি, গোল্ডিই কানাডা থেকে ওই দলের তোলাবাজি ও অস্ত্র পাচারের কারবার নিয়ন্ত্রণ করত।
পঞ্জাবে গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পরে নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার। সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। পরে এক সাক্ষাৎকারে গোল্ডি দাবি করে, সেই মুসেওয়ালাকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ, মুসেওয়ালা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী ভিকি মিদুখেরার হত্যায় যুক্ত ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় রয়েছেন সলমন খান। গোল্ডিও জানায়, এর পরে সলমনকে নিশানা করতে চায় তারা। বেশ কয়েক বার হুমকিও দেওয়া হয় বলিউড তারকাকে।
সমাজমাধ্যমে গোল্ডি হত্যার দায় নিয়েছে আর্শ দাল্লা ও লখবীরের দল। তবে লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর তরফে এখনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।