বার্নি স্যান্ডার্সের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। —ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন উপত্যকায় ভারতের ‘দমননীতি’র। তার জেরে এ বার নিজের দেশেই বিতর্কের মুখে পড়লেন ভারমন্টের সেনেটর তথা ২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স। কড়া ভাষায় তাঁর সমালোচনা করলেন মার্কিন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল লরেন্স সেলিন। তাঁর দাবি, বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলিম সমাজকর্মী ফৈয়জ শাকির। তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এমন মন্তব্য করেছেন বার্নি।
গত শনিবার হিউস্টনে ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বার্নি স্যান্ডার্স। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন বিলোপ করেছে ভারত সরকার। ভিন্ন মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দমননীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। সমস্ত যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্য পরিষেবাটুকুও পাচ্ছেন না কাশ্মীরবাসী। উপত্যকার এমন পরিস্থিতিতে আমি উদ্বিগ্ন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত মার্কিন সরকারের।’’
এই মন্তব্যের জেরেই বার্নি স্যান্ডার্সের তীব্র সমালোচনা করেছেন লরেন্স সেলিন। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘ উজ্জ্বল নীল রঙ করে দিলেও মানচিত্রে কাশ্মীর খুঁজে বার করতে পারবেন না বার্নি স্যান্ডার্স। পাকিস্তানের হয়ে সমর্থন জোগাড়ের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ওঁর নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে থাকা ফৈয়জ শাকির। তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এমন মন্তব্য করেছেন বার্নি।’’
আরও পড়ুন: আকাশে ফিরলেন অভিনন্দন, পঠানকোটে উড়ান বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে
আরও পড়ুন: চাঁদে নামার প্রস্তুতি শুরু, দেড় মাসের মাথায় চন্দ্রযান-২ থেকে আলাদা হল বিক্রম ল্যান্ডার
আফগানিস্তান এবং ইরাক যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন লরেন্স সেলিন। পাকিস্তানের সমালোচক হিসাবেই বরাবর পরিচিত তিনি। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হলে ভারত এবং পাকিস্তান, এই দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাধতে পারে এবং তাতে গোটা দুনিয়াকেই ভুগতে হবে বলে দিন কয়েক আগে হুঁশিয়ারি দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তা নিয়ে ইমরানকেও একহাত নেন লরেন্স সেলিন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে মাথাচাড়া দেওয়া হাজার হাজার জঙ্গি এবং পরমাণু অস্ত্র নিয়ে দেশ শাসন করছেন এক জন উন্মাদ। শুধুমাত্র এই কারণেই পাকিস্তানের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ হওয়া দরকার।’