ভারত সরকারের সমালোচনা করলেন বার্নি স্যান্ডার্স।ছবি: রয়টার্স।
কয়েক দিন আগেই জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যস্থতার প্রসঙ্গ এড়িয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ ‘খুব ভাল সমাধান’ বার করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন সেনেটর তথা ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স। তাঁর অভিযোগ, নিরাপত্তার নামে উপত্যকায় ‘দমন-পীড়ন’ চালাচ্ছে ভারত সরকার। এর বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের প্রতিবাদ করা উচিত বলেও দাবি তোলেন তিনি।
ভারমন্টের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয় তিনি। নিজে নির্দল সেনেটর হলেও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন বিলোপ করেছে ভারত সরকার। ভিন্ন মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দমননীতি নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্য পরিষেবাটুকুও পাচ্ছেন না কাশ্মীরবাসী। উপত্যকার এমন পরিস্থিতিতে আমি উদ্বিগ্ন।’’
বার্নি স্যান্ডার্সের মতে, ‘‘এ ভাবে যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া একেবারেই কাম্য নয়। অবিলম্বে অবরোধ তুলে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং কাশ্মীরবাসীর ইচ্ছার সমর্থনে রাষ্ট্রপুঞ্জের যে নিয়ম-নীতি রয়েছে, তা মেনে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত মার্কিন সরকারের। ’’
আরও পড়ুন: ‘সারে জঁহা সে আচ্ছা’ গাইলেন পাক রাজনীতিক, জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়
আরও পড়ুন: ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়ুন’, জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ মনমোহনের
যদিও কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বলেই তাঁর পক্ষে কথা বলতে পারবেন না বার্নি স্যান্ডার্স। তাঁর এই মতকে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই সাউথ ব্লক সূত্রে খবর।