—ফাইল চিত্র।
হিউস্টনে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে বক্তৃতা করবেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই মুহূর্তে সে দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। আর ঠিক সেইসময়ই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে পরিস্থিতি তাতিয়ে তুলতে উদ্যোগী হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাত দিনের সফরে শনিবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন তিনি। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জন সমর্থন জোগাড় করাই তাঁর লক্ষ্য বলে খবর।
খরচে কাটছাঁট করতে মন্ত্রী-আমলাদের বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন ইমরান। তাঁর নিজেরও বাণিজ্যিক বিমানে চেপেই মার্কিন সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন নিজের বিশেষ বিমানে চাপিয়ে ইমরানকে মার্কিন সফরে পাঠিয়েছেন। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে সে কথা ইতিমধ্যেই ফলাও করে জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ‘বিশেষ অতিথি’ ইমরানকে বাণিজ্যিক বিমানে চেপে যেতে দেননি সৌদি যুবরাজ। তাই নিজের বিশেষ বিমানে চাপিয়েই পাঠান।
বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসা, বাণিজ্য-সহ বিভিন্ন স্বার্থ জড়িত থাকায় একাধিক দেশ ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখাচ্ছে না বলে আগেই দাবি করেছিলেন ইমরান। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, নৈতিক কারণেই কাশ্মীর নিয়ে মুসলিম দেশগুলির একজোট হওয়া প্রয়োজন। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি আরব কি আদৌ পাকিস্তানকে সমর্থন করছে? নাকি ভারতকে কোণঠাসা করতে যুবরাজের সৌজন্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে?
আরও পড়ুন: কে আগে বলবেন, মোদী না ট্রাম্প? ‘হাউডি মোদী’ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে হিউস্টনে
আরও পড়ুন: রামের নামে হত্যা আসলে তাঁর অপমানই, বললেন শশী তারুর
মার্কিন সফরে যাওয়ার আগে কাশ্মীর নিয়ে সমর্থন জোগাড় করতেই দু’দিন সৌদি আরবে ছিলেন ইমরান খান। সেখান থেকেই সরাসরি নিউ ইয়র্ক রওনা দেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা করার কথা তাঁরও। সেখানেও তিনি কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।