পরিকল্পনা মাফিকই ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে শুরু করল পাক সেনা। সম্প্রতি ইসলামাবাদে পাঁচ কোম্পানি সেনা মোতায়েন করা হয়। সরকারের যুক্তি ছিল, যে ভাবে উত্তর পাকিস্তানে জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করা হয়েছে, তার বদলা নিতে ইসলামাবাদে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। তাই রাজধানীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বিরোধীরা সে যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, তেহরিক-ই-ইনসাফের আসন্ন মিছিল বানচাল করতেই এই পরিকল্পনা।
গত মাসের শেষ দিকে পাক সরকার জানিয়েছিল ১ অগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইসলামাবাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে সেনার উপর। সেই অনুযায়ী পাঁচ কোম্পানি সেনাও মোতায়েন করা হয়েছিল রাজধানীতে। কিন্তু তার পরেই রটতে থাকে ইসলামাবাদ ছাড়া হয়তো অন্য বড় শহরগুলিতেও সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। শুরু হয় জল্পনা, তা হলে কি ফের সেনা অভ্যুত্থান হতে চলেছে পাকিস্তানে?
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী নিসার আলি খান অবশ্য এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। শুধু জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ২৪৫ ধারা মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিরোধীদের দাবি, ১৪ অগস্ট অর্থাৎ পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে যে বিশাল মিছিলের পরিকল্পনা করেছিল ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ, তা ভেস্তে দিতেই সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে ওই শহরের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পুরোটাই সেনার হাতে চলে আসবে। আর তার সুযোগ নিয়ে সেনা ঠিক কী কী করতে পারে, তা ভেবেই উদ্বিগ্ন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনারও দাবি তুলেছিলেন তাঁরা।
তবে এত কিছুর পরেও সিদ্ধান্তে অনড় পাক সরকার। এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, জুনের মাঝামাঝি যখন জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করেছিল পাকিস্তান, তখন থেকেই ইসলামাবাদে রয়েছে পাক সেনা। এই সিদ্ধান্ত আসলে সেনার উপস্থিতিকেই আইনি বৈধতা দিল।