বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।—ছবি পিটিআই।
কোনও দেশ কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিতেই পারে বলে মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর ব্যাখ্যা, মধ্যস্থতার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে কি না তা স্থির করবে ভারত। এ নিয়ে দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট।
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের সময়ে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন ট্রাম্প। ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে ভারত-পাকিস্তান চাইলে কাশ্মীর নিয়ে ‘সালিশি’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন তিনি। ফলে ভারত ট্রাম্পকে কূটনৈতিক ভাবে কতটা কাছে টানতে পেরেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
নিউ ইয়র্কের অধিবেশন শেষে গত কাল রাতে ওয়াশিংটনে এসেছেন জয়শঙ্কর। আজ সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর প্রসঙ্গে উত্থান পতন নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে বিষয়টি নিয়ে কোনও ধন্দ নেই। কেউ মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিতেই পারেন। কিন্তু তা গ্রহণ করা হবে কি না তা নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’
রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েও অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন বিদেশমন্ত্রী। রাশিয়া থেকে কোনও দেশ অস্ত্র কিনলে সেই দেশের উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘আমরা এ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছি। তবে কোন দেশ থেকে অস্ত্র কেনা হবে তা আমাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত।’’
পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানকে এক বন্ধনীতে রাখা হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন জয়শঙ্কর। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ নিয়ে বিতর্কের জেরে রাষ্ট্রপুঞ্জে অনেক রাষ্ট্রনেতা ভারত-পাকিস্তানকে একই বন্ধনীতে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। জয়শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘পাক অর্থনীতির আয়তন আমাদের অর্থনীতির এক-অষ্টমাংশের সমান। রাষ্ট্র হিসেবে তাদের পরিচয়ও আমাদের বিপরীত। ফলে দুই দেশকে এক বন্ধনীতে কী ভাবে রাখা যেতে পারে?’’