রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।—ছবি এএফপি।
সংঘর্ষে উত্তপ্ত আর্মেনিয়া ও আজ়ারবাইজান সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। গত কালই এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে দু’পক্ষের উচিত সংঘর্ষ বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান বার করা। গুতেরেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আজ়ারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন মহাসচিব।
গুতেরেসের পাশাপাশি দু’পক্ষকে হিংসা বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। গত কাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘‘ওই এলাকায় আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা দেখছি এই দ্বন্দ্ব থামাতে পারি কি না।’’ এর পাশাপাশি, একটি বিবৃতিতে দু’পক্ষের সংঘাতের নিন্দা করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। দু’দেশের সীমান্তে সশস্ত্র হিংসা থামাতে মার্কিন প্রশাসনকে দ্রুত উদ্যোগী হতে বলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনও।
তবে গত দু’দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হিংসা বন্ধের আর্জি জানালেও নাগোরনো-কারাবাখে সংঘর্ষ থামেনি। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, কাল সারা রাত সীমান্ত বরাবর বোমা বর্ষণ করেছে আজ়ারবাইজানের সেনা বাহিনী। আজ়ারবাইজান সরকার আবার পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তেরতের শহরে শেলিং করেছে আর্মেনীয় বাহিনী।
আর্মেনিয়ার দাবি, তাদের সেনা বাহিনীর ১৫ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে আজ। দু’পক্ষই জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ নাগরিকও। নাগোরনো-কারাবাখ দখল করে থাকা আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে, সংঘর্ষে এক মহিলা ও তাঁর শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ়ারবাইজান সরকারের আবার পাল্টা দাবি, আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে তাদের দেশের একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।