প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
পরিবেশ বাঁচাতে একটা ‘রুলবুক’ চাই। যে ভাবে হোক, এ মাসের মধ্যেই। গত কাল থেকে সেই লক্ষ্যেই পোলান্ডের কাতোভিৎসায় শুরু হয়েছে জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন। কিন্তু গোড়াতেই হতাশার সুর শোনা গিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের গলায়। বলছিলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গোটা বিশ্বই উদাসীন।’’ আজ যদিও পরিবেশ রক্ষায় ভারতের ‘দায়বদ্ধতা’ নিয়ে প্রশংসা করতেই শোনা গেল তাঁকে। বললেন, ‘‘সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর এই দায়বদ্ধতার পিছনে থাকা অনুপ্রেরণার কথা জানতে চেয়েছিলাম। নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, এর শিকড় রয়েছে প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বেদেই। আমার মনে হয়, সব ধর্মেই এমন কথা আছে। সে পথেই এগোনো যাক।’’
গত সপ্তাহে বুয়েনস আইরেসে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকেই মোদীর সঙ্গে গুতেরেসের এই বার্তালাপ হয়েছিল বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য অক্টোবরের গোড়ায় দিল্লিতে এসে মোদীর হাতে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন গুতেরেস। তখনও অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মোদী প্রাচীন হিন্দু শ্লোক উদ্ধৃত করে তুলে ধরেন ভারতের সংস্কৃতিকে। যেখানে পরিবেশ রক্ষা জীবন ও সংস্কৃতির অঙ্গ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ কথায় কথায় ধর্ম-ঈশ্বরের প্রসঙ্গ পাড়লেন গুতেরেসও। বললেন, ‘‘ঈশ্বরসৃষ্ট পৃথিবীকে মানুষ যে ভাবে ধ্বংস করছে, সেটা এক জন ঈশ্বর-বিশ্বাসীর পক্ষে চাক্ষুষ করা কষ্টকর।’’
মোদীর সঙ্গে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ে মাকরঁ। এখন তাঁর দেশই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ফুঁসছে। পরিবেশের স্বার্থে গত বছর জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বন্ধ করতে আইন পাশ করে তাঁর সরকার। আগামী মাস থেকে ‘ইকো-ফুয়েল’ কর বসানোর কথাও ভেবেছিলেন মাকরঁ। কিন্তু আজ তা ‘সাসপেন্ড’ করার কথা ঘোষণা করেছে মাকরঁর প্রশাসন।