Rape in Bhatar

শৌচাগারে যাওয়ার সময় মূক এবং বধির মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! ভাতারে গ্রেফতার প্রতিবেশী

সোমবার অভিযুক্তকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০০
Share:
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গভীর রাতে বাড়ির পাোশে শৌচালয়ে গিয়েছিলেন মূক এবং বধির এক মহিলা। সেই সময় তাঁকে নির্জন একটি জায়গায় টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকার ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ওই মহিলা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। ৪২ বছর বয়সি ওই মহিলা দাদা-বৌদির কাছে থাকেন। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছিলেন ওই মহিলা। বাড়ির চার পাশে পাঁচিল নেই। সেই সুযোগে মূক এবং বধির ওই মহিলাকে টেনেহিঁচড়ি নিয়ে যান প্রতিবেশী যুবক। লোকালয় থেকে খানিক দূরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

রবিবার সকালে বিছানায় ননদকে দেখতে না পেয়ে স্বামীকে খবর দেন বৌদি। ওই দম্পতি মহিলার খোঁজ শুরু করেন। প্রতিবেশীরাও এদিক-ওদিক দেখতে থাকেন। বেশ কিছু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর একটি তেঁতুল গাছের তলায় বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই মহিলাকে। অভিযুক্ত সেই সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন। লোকজনকে আসতে দেখে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।

Advertisement

মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। ৪২ বছর বয়সি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। রবিবার সকালে পরিবারের তরফে অভিযুক্তের নাম-সহ ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে মহিলার পরনে যে পাশাক ছিল তদন্তের স্বার্থে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ‘নির্যাতিতা’র ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। সোমবার অভিযুক্তকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement