Corona New Strain

ব্রিটেনে এ বার আত্মপ্রকাশ আরও এক নয়া স্ট্রেনের

এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনে কমপক্ষে ১৬ জনের শরীরে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকা এই নয়া স্ট্রেনটির অস্তিত্ব মিলেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২১ ০৬:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

নভেল করোনাভাইরাসের ‘ব্রিটেন স্ট্রেন’ আতঙ্কের মাঝেই ব্রিটেনে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করল আরও এক নয়া স্ট্রেন। নতুন স্ট্রেনটির সম্পর্কে এখনও খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। যদিও ব্রিটেনেই এর উৎপত্তি বলে প্রাথমিক ধারণা বিজ্ঞানীদের।

Advertisement

এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনে কমপক্ষে ১৬ জনের শরীরে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকা এই নয়া স্ট্রেনটির অস্তিত্ব মিলেছে। স্ট্রেনটি নিয়ে অনুসন্ধানে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা। বিস্তারিত তত্ত্ব প্রকাশ্যে না আসা পর্যন্ত আপাতত এই নয়া স্ট্রেনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন’ বা ‘ভইউআই’ বলেই অভিহিত করছে ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য দফতর। আপাতত ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন (ভিওসি)’ বা উদ্বেগজনক স্ট্রেনের তালিকায় না-থাকায় তা নিয়ে এখনই আতঙ্কের কারণ নেই বলেই আশ্বস্ত করা হয়েছে দফতরের তরফে।

তবে যে হারে মিউটেট করে নিজেদের চরিত্র বদল করছে করোনাভাইরাস তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিজ্ঞানীদের। আরও সংক্রমক হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও যে এই ‘রূপ পরিবর্তন’ চলতেই থাকবে তা নিয়েও এক প্রকার নিশ্চিত তাঁরা। এর প্রভাব বর্তমান প্রতিষেধকগুলির কার্যকারিতার শতাংশে হেরফের আনলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মত গবেষকদের। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনে একাধিক নয়া স্ট্রেনের বিরুদ্ধে রক্ষার দাবি রাখা কার্যকর এবং নিরাপদ প্রতিষেধকগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিতে যাতে বাড়তি সময় নষ্ট না-হয় তার জন্য আরও চার দেশের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাত মিলেয়েছে ব্রিটেনের ‘মেডিসিন‌্‌স অ্যান্ড হেল্‌থকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি’ (এমএইচআরএ)। বৃহস্পতিবার এই জোটের কথা প্রকাশ করে ব্রিটেন। সহযোগী দেশগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর
এবং সুইৎজ়ারল্যান্ড।

Advertisement

এ দিকে বিশ্ব জুড়ে এই অতিমারি ছড়ানো ভাইরাসটির প্রথম স্ট্রেন অর্থাৎ ‘উহান স্ট্রেন’-এর উৎপত্তি অনুসন্ধানে চিনের উহান শহরে পাড়ি দেওয়া তাদের বিশেষজ্ঞ দলের মধ্যবর্তী রিপোর্ট প্রকাশের পরিকল্পনা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকার এক প্রথম সারির দৈনিক। হু-এর তরফে আগে জানানো হয়েছিল, বিজ্ঞানী দলটি কী কী তথ্য পেয়েছে, তার সারাংশ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। পরে বিস্তারিত রিপোর্টটি প্রকাশিত হবে। যে পরিকল্পনা আপাতত বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলেই দাবি সংবাদপত্রটির। বরং সম্পূর্ণ রিপোর্টই একবারে প্রকাশ করা হবে। যদিও সেই রিপোর্টটিও প্রকাশ করতেও বা এত সময় লাগছে কেন, তা নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। উঠছে প্রশ্ন।

ওই সংবাদপত্রটির আরও দাবি, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল খোলা চিঠিতে করোনার
উৎপত্তি সংক্রান্ত তদন্তটি নতুন করে করার দাবি জানান। ওই বিজ্ঞানীদের মতে, গত মাসে হু-র বিজ্ঞানীদের দলটি উহানে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু তাদের নিজেদের মতো করে তদন্ত চালাতে দেওয়া হয়নি। অনেক জায়গাতে পৌঁছতেই দেওয়া হয়নি ওই বিজ্ঞানীদের। বেশির ভাগ সময়েই চিনের বিজ্ঞানীদের কথার উপর নির্ভর করেই তদন্ত চালাতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। তবে চিনের ওই বিজ্ঞানীদেরও যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তেমনটা নয়। সেই প্রেক্ষিতে ওই তদন্তের স্বার্থকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন
এই বিজ্ঞানীরা।

অতিমারি সঙ্কট এখনও কাটেনি। তা সত্ত্বেও করোনা-বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শুক্রবার মাস্ক-ছাড়াই জনসমক্ষে এসে বিতর্কের জন্ম দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তিনি প্রতিষেধক নিয়েছেন কি না স্পষ্ট নয়। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, চিনের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সমাবেশে গিয়ে মাস্ক ছাড়াই দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে চিনফিং কীভাবে সাক্ষাৎ সারলেন!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement