আন্না সেমলিয়েন। ব্রিটেনের ইয়র্ক শহরের প্রাক্তন লেবার-কাউন্সিলর হিসাবেই এত দিন পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু অতিমারি যখন সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছিল, আন্না নিজের নতুন এক পরিচয় খুঁজে নিয়েছিলেন।
তিনি এখন জনপ্রিয় ‘সফট পর্ন’ তারকা। নিজের ইউটিউব চ্যানেল চালান। এক সময়ের কাউন্সিলরকে কেন নেটমাধ্যমে ‘সফট পর্ন’ তারকা হয়ে উঠতে হল?
আন্নার বয়স এখন ৫১ বছর। ২০১১ সালে ইয়র্ক শহরের কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘আন্না’স অথেন্টিক আর্টস’। ২০২০ সালে লকডাউনের মধ্যেই এই চ্যানেলটি শুরু করেছিলেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এখনও পর্যন্ত এতে অন্তত ২০০টি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন তিনি। প্রতিটি ভিডিয়ো দুই থেকে তিন মিনিট সময়ের। তাঁর বেশির ভাগ ভিডিয়ো শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।
কেন আন্না সফট পর্ন তারকা হওয়ার কথা ভাবলেন? এই প্রশ্নের সম্মুখীন একাধিকবার হতে হয়েছে তাঁকে। তিনি আসলে নারীবাদী। মহিলাদের পথ নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই বরাবর সরব হয়ে থাকেন। কাউন্সিলর থাকাকালীনও তিনি নারী সুরক্ষার জন্য অনেক কিছু করেছিলেন।
আন্নার মতে, মহিলাদের নিয়ে সমাজে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। সমাজে অনেক বেড়াজালে বেঁধে রাখা হয় মহিলাদের। সেই ধারণাই ভাঙতে চান তিনি। নিজের চ্যানেলে এই সংক্রান্ত নানা বক্তব্য, মতামত রাখেন আন্না। সবেতেই থাকে যৌনতার ছোঁয়া। নিজের লেখা কবিতার লাইনেই সে সবের প্রতিবাদ জানিয়ে থাকেন।
আন্নার মতে, যৌনতার ছোঁয়া থাকার জন্যই খুব সহজে নিজের মতামত সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি লকডাউনে ঘরবন্দি জীবনে মানুষের একঘেয়েমি কাটাতেও সাহায্য করে তাঁর চ্যানেল। এ সব কারণেই ‘সফট পর্ন’ তারকা হয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত।
আন্নার ভিডিয়োগুলো শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকে না। তাঁর এমন অনেক ভিডিয়ো রয়েছে, যেগুলো যে কোনও বয়সিরাও দেখতে পারেন। আন্নার নিজেরও ২০ বছরের মেয়ে রয়েছে।
মায়ের কোন ভিডিয়ো দেখা উচিত হবে, কোনটা নয়, সেও খুব ভালভাবে বুঝে গিয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আরও একটি প্রাপ্তি ঘটেছে তাঁর। এই চ্যানেলের মাধ্যমেই নতুন জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
এর পাশাপাশি আন্না একজন যোগ-প্রশিক্ষকও। অনলাইনে অনেকেই যোগ অনুশীলন করান তিনি।