দক্ষিণ ক্যারোলিনার একটি সমুদ্রতট থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে খোঁজ মিলেছে প্রাচীন আমলের স্বর্ণমুদ্রার।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ১৮৪০ সালের জুলাইয়ে উত্তর ক্যারোলিনার একটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। সেখান থেকেই সমুদ্র উপকূলের কাছে এই মোহর মিলছে বলে অনুমান।
মোহরের সন্ধানে নামানো হয়েছে ডুবুরি। শুধু সোনা নয়, রয়েছে প্রচুর রুপোর মুদ্রাও। যে জাহাজ ডুবে গিয়েছিল তার মধ্যে একজন ধনী যাত্রী ছিলেন। তার কাছেই এই স্বর্ণমুদ্রাগুলি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গবেষকদের অনুমান, মোহরগুলি হারিয়ে এই ব্যবসায়ীর প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছিল। কাজেই এখন সেগুলি বহুমূল্য বললেও কম বলা হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৭৮ বছর আগের এক নভেম্বরে উইলমিংটন থেকে চার্লসটন যাচ্ছিল এসএস নর্থ ক্যারোলিনা নামের ওই জাহাজ। পথে একটি বাষ্পচালিত জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার।
শোনা যায়, সংঘর্ষের পর দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল ক্যারোলিনা। নিমেষে তলিয়ে যায় সেটি। তবে যাত্রীদের বাঁচিয়েছিল ওই জাহাজ। তবে উদ্ধার হয়নি কোনও জিনিসপত্র। সেই যাত্রীদের মধ্যে সেনেটর ও কংগ্রেসম্যানও ছিলেন, বলছে মারেক্স ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট।
সরকারি বেশ কিছু নথিও সেই সময় ডুবে গিয়েছিল ওই জাহাজের সঙ্গেই। সেগুলি পাওয়া গেলে অনেক নতুন তথ্য সামনে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে আসবে মার্কিন মুদ্রার ইতিহাসের নানা অজানা কথা।
ব্লু ওয়াটার ভেঞ্চার্স ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড এনড্যুরান্স এক্সপ্লোরেশন গ্রুপ সন্ধান চালাচ্ছে এই রাশি রাশি মোহরের। দলের তরফে কেথ ওয়েব বলেন, এখনও পর্যন্ত ১০টি মোহর পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির একেকটির দাম ধার্য হয়েছে ৫২ লক্ষ টাকা। বিক্রিও হয়ে গিয়েছে সেগুলি।
ঠিক কোন জায়গায় এই মোহরগুলি রয়েছে, তারই সন্ধান চালাচ্ছে ডুবুরিরা। ২০১৯ সালের মে-জুন মাসের মধ্যেই এই সন্ধান শেষ হওয়ার আশা রাখছেন সর্বেক্ষণে নিযুক্ত গবেষকরা।
স্কুবা ডাইভাররা এই অঞ্চলকে ‘দ্য কপার পট রেক’, বলে উল্লেখ করছেন। সমুদ্রের প্রায় ৫০ ফুট গভীর অঞ্চল এটি। মুরেলস ইনলেট থেকে প্রায় ৩৩ কিমি দূরে।