আহত বিড়াল তুরস্কের একটি হাসপাতালে। প্রতীকী ছবি।
একটি বিড়াল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইতিউতি চাইছে। কিছু যেন খুঁজছে বা সাহায্য চাইছে। সিসিটিভিতে বিষয়টি দেখে কৌতূহল তৈরি হয় এক নার্সের। তিনি বিড়ালটির কাছে যান। তার পর কোলে তুলে নিয়ে বুঝতে পারেন, বিড়ালটির পায়ে কোনও সমস্যা রয়েছে। পরীক্ষা করে দেখেন, বিড়ালটির ওই পা-টি ভেঙে গিয়েছে। ওষুধপত্র দেওয়ার পাশাপাশি বিড়ালটির হাঁটতে যাতে তেমন কোনও অসুবিধা না হয়, সেই ব্যবস্থাও করেন ওই নার্স। বিড়ালটিকে চেয়ারে বসিয়ে তার পায়ে বেঁধে দেন একটি ‘মেডিকেটেড’ লোহার রড। এই ভিডিয়োই পরে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। তার পর সেটা হয়ে যায় ভাইরাল। প্রচুর মানুষ তা দেখে ওই নার্সের প্রশংসা করেছেন। বাহবা জানিয়েছেন বিড়ালটির বুদ্ধিরও।
তুরস্কের একটি হাসপাতালে গত সপ্তাহেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আহত একটি সাদা-কালো বিড়াল ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে সে। হঠাৎ এক নার্স বিড়ালটির কাছে এগিয়ে আসেন। ভিডিয়োর পরের অংশে দেখা গিয়েছে, বিড়ালটি একটি চেয়ারে বসে আছে। ওই নার্স তার চিকিৎসা করছেন। ততভন শহরের বিটলিস জেলার ওই হাসপাতালের এক কর্মী এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন।
জানা গিয়েছে, ওই নার্সের নাম আবুজার ওজদেমির। তিনি বলেন “আমি কাজ করছিলাম। সেই সময় সিসিটিভিতে দেখি, একটি বিড়াল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করি। এর পর বিড়ালটি নিজেই চলে যায়। কয়েক দিন পর বিড়ালটি নিজেই এসেছিল। মনে হয় পরীক্ষা করাতেই!’’ আর এক বার তার পা পরীক্ষা করানোর জন্য।”
বিড়ালটি কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় গিয়েছিল, তা যদিও জানা যায়নি। হাসপাতালের কর্মীরা বিড়ালটির নাম রেখেছেন ডাভসো। জানা গিয়েছে, এর আগে ওই হাসপাতালে একটি বিড়াল ছিল। পরে সে মারা যায়। তার নামও ছিল ডাভসো। আপাতত এই ডাভসোর ভিডিয়োতেই মজে সমাজমাধ্যম।