ফোন চার্জে দিয়ে বিপত্তি উইলে ডে-র
প্রতি দিনের অভ্যেস। শোবার সময় মাথার পাশে তাঁর আইফোনটিকে চার্জে রেখে দেওয়া। সকাল থেকে দৌড় ঝাঁপ আর ব্যস্ততায় মোবাইল চার্জ করার আর সময় হয়ে ওঠে না। তাই, রাতেই পুরো চার্জ দিয়ে নেন আলাবামার হান্টসভিল-এর বাসিন্দা উইলে ডে। যেমন অনেকেই করে থাকেন।
কিন্তু প্রতি দিনের এই অভ্যেস বছর ৩২-এর এই যুবককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে, কে বা জানত! ঘটনাটি ঘটে ২২ মার্চ। রাতে যখন শুতে গিয়েছিলেন ডে, পাশেই তাঁর আইফোনটিকে চার্জে রেখে দিয়েছিলেন। দেওয়ালে থাকা সুইচ বোর্ডের সঙ্গে এক্সটেনশন কর্ডের মাধ্যমে চার্জে রেখেছিলেন আইফোনটিকে। এর পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন- সাবধান! গুগল কিন্তু জানে আপনি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত
বিপত্তিটা ঘটে ভোর রাতে। হঠাত্ ডে -কে যেন কোনও অলৌকিক শক্তিতে বিছানা থেকে ছিটকে ফেলে দেয় মাটিতে। তার পর গলায় থাকা মোটা ধাতুর চেনটা তাঁকে যেন আষ্টেপিষ্টে বেঁধে দিচ্ছে। কোনও ভাবেই নিজের গলাকে ছাড়াতে পারছেন না তিনি।
সে দিন রাতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, “আমার শরীর আস্তে আস্তে অসাড় হয়ে আসে। সারা শরীরে কোনও জ্বলন না হলেও গলায় যেন এক অসম্ভব চাপ তৈরি হয়। শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে ওঠে।” শেষমেশ ডে-র চিত্কারে পাশের ঘরে শুয়ে থাকা আত্মীয়রা ছুটে আসেন। তত্ক্ষণাত্ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ডে-কে।
সে যাত্রায় উইলি ডে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু হান্টসভিলের হাসপাতালের চিকিত্সক বেঞ্জামিন ফেল জানান, প্রায় থার্ড ডিগ্রি বার্নের অবস্থায় ডে-র গলা পুড়েছে। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েই এই দুর্ঘটনা বলে জানান চিকিত্সকরা। তাঁদের মত, ১০০ ভোল্ট বিদ্যুতেই প্রাণহানি হতে পারে, সেখানে ডে প্রায় ১১০ ভোল্টের কাছাকাছি শক খেয়েছেন। তিনি যে কী ভাবে বেঁচে ফিরলেন, এটাই অবাক করেছে চিকিত্সকদের।
আরও পড়ুন- পাভলভের পরীক্ষার উলটপুরাণ, ঘণ্টা বাজিয়ে খাবার চাইছে বিড়াল!
কিন্তু কী ভাবে ঘটল?
ডে জানাচ্ছেন, এক্সটেনশন কর্ডের থেকে কোনও ভাবে বিদ্যুত্ সংযোগ হয়ে যায় তার গলায় থাকা ধাতুর চেনে। এতটাই তীব্র ছিল যে তাঁকে বিছানা থেকে ছিটকে ফেলে দেয়।
যাই হোক, মোবাইল চার্জে রেখে শুতে যাওয়া যে কতটা জীবন সংশয় হতে পারে, সেই অভিজ্ঞতাই এখন সবার কাছে শেয়ার করছেন ডে। আর কেউ যেন এমন অভিজ্ঞতার শিকার না হন, কার্যত জনস্বার্থেই প্রচার করতে শুরু করেছেন তিনি।