Amrullah Saleh

Amrullah Saleh's Brother: সালেহ্‌র দাদাকে মারার আগে অত্যাচার চালিয়েছিল তালিবান, দাবি রিপোর্টে

পঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গেই ছিলেন আমরুল্লা। রহুল্লার মৃত্যুর পর তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানের বিশিষ্টরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৫৯
Share:

রহুল্লা সালেহ এবং আমরুল্লা সালেহ।

শারীরিক অত্যাচার চালানোর পর খুন করা হয় আমরুল্লা সালেহ্‌র দাদা রহুল্লাকে। তালিবান তাকে শুধু গুলি করে মারেনি। বন্দি করে অত্যাচার চালিয়েছিল। এমন দাবি করেছেন এক আফগান সাংবাদিক।

টুইটারে একটি সূত্রের উল্লেখ করে ওই সাংবাদিক লিখেছেন, ‘এর আগে বলা হয়েছিল পঞ্জশির থেকে কাবুলে আসার পথে রহুল্লাকে চিনে ফেলে গুলি করে মারে তালিবান। কিন্তু এখন একটি সূত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছে, রহুল্লাকে বন্দি করা হয়েছিল। হত্যা করার আগে তার উপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছিল তালিবান।’

পঞ্জশিরে তালিবানি নৃশংসতার কথা জানিয়ে বেশ কয়েকটি টুইট প্রকাশ্যে এসেছিল শুক্রবার সকালেই। নিজেকে প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করা এক ব্যক্তি লিখেছিলেন, পঞ্জশিরের বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্যদের খুঁজে বের করে হত্যা করছে তালিবান। তাদের লক্ষ্য মূলত পঞ্জশিরের তরুণেরা। তালিবানের ভয়ে তাই গত দু’-একদিনে পঞ্জশির ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছে অন্তত ১০০টি পরিবার। টুইটারে বিষয়টি জানিয়ে ওই ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এখনও সবাই চুপ করে থাকবে? নৃশংস তালিবানের বিরুদ্ধে কেউ একটা কথাও বলবে না? বিশ্বের বাকি দেশগুলি কী করছে?’

Advertisement


Advertisement

নিজেদের নতুন আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে দাবি করা তালিবান অবশ্য ওই টুইটের প্রেক্ষিতে কোনও বিবৃতি দেয়নি। এর পরেই শুক্রবার দুপুরে প্রাক্তন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লার দাদার মৃত্যুর খবর জানা যায়।

পঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গেই ছিলেন আমরুল্লা। রহুল্লার মৃত্যুর পর তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানের বিশিষ্টরা। যদিও একটি সূত্রের দাবি প্রাণ বাঁচাতে এখন তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন আমরুল্লা। যদিও তালিবানের দাবি আমরুল্লা এখনও আফগানিস্তানেই রয়েছেন।

১৯৭২ সালে পঞ্জশিরেই এক তাজিক পরিবারে জন্ম আমরুল্লার। ছোটবেলাতেই অনাথ হয়েছিলেন। পঞ্জশিরে যেখানে তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে সেখানেই শৈশব আর কৈশোর কাটিয়েছেন প্রাক্তন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট। তালিবান বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে আমরুল্লার যোগ সেই কিশোর বয়সেই। ১৯৯৬ সালে আমরুল্লার দিদিকেও অত্যাচার করে খুন করেছিল তালিবান। পরে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘৯৬ সালে যা ঘটেছিল, সেটা তালিবান সম্পর্কে আমার ধারণা চিরতরে বদলে দিয়েছিল।’’ তারপর থেকেই নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জুড়েছিলেন আমরুল্লা।

​​​​​​​শুক্রবার তাঁর দাদাকেও হত্যা করল তালিবান। আমরুল্লার তরফে অবশ্য কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। যদিও নর্দার্ন অ্যালায়েন্স দাবি করেছে তালিবান বিরোধী শক্তির সঙ্গে তাদের মোকাবিলা বন্ধ হয়নি এখনও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement