ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করেছে পাকিস্তান। তাই ইদের মুখে সে দেশে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। কূটনেতিক স্তরে ভারতের সঙ্গে পাক সরকার সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তে রোজকার হেঁশেল সামলাতে নাজেহাল মানুষ। তাঁদের উদ্বেগ, মুদ্রাস্ফীতির জেরে এমনিই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তার উপরে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও অন্যান্য আনাজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় চাপ আরও বাড়ছে পকেটের উপরে।
আগামি সপ্তাহে ইদ-আল-আধার। বাজারের হাল দেখে বোঝার উপায় নেই। ‘‘রোজগার বাড়ছে না। দুধ থেকে আনাজ বা মাংসের দাম বাড়ছে। এখন ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় রোজকার ব্যবহারের জিনিসের দাম আরও বাড়বে,’’ দুশ্চিন্তার সুর গৃহবধূ নাজ়মার গলায়। একই চিন্তা পেঁয়াজ বিক্রেতা ইফতিখারের। বলেছেন, ‘‘ইদের মাত্র ৩-৪ দিন বাকি। কেনাকাটা প্রায় বন্ধ। আনাজ ও পেঁয়াজ আসে ভারত থেকে। ইমরান খান কী চান? আমরা ঘাস খেয়ে থাকি?’’ ব্যাঙ্ককর্মী আসফাকের কথায়, ‘‘ইদের রোশনাই এ বার ফিকে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত করার পিছনে ইমরান সরকারের কী ভাবনা বুঝতে পারছি না।’’
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ ও রাজ্যকে দু’টি প্রশাসনিক এলাকায় ভাগ করা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বাণিজ্য বন্ধের পাশাপাশি ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ। সমঝোতা ও থর এক্সপ্রেস পরিষেবাও বাতিল করেছে তারা। পুলওয়ামা হামলার পরে পাক পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি। ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছিল তখন। এখন কাশ্মীর নিয়ে দড়ি টানাটানিতে বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ।