Saikat Chakrabarti

মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক, মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যের অফিস থেকে সরছেন বাঙালি

কেন সৈকত চক্রবর্তীকে সরতে হচ্ছে ? প্রথমত, স্পিকার ল্য়ান্সি পেলোসিকে চ্য়ালেঞ্জ করা, দ্বিতীয়ত, মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের প্রতি বর্ণবৈষম্যমবলক মন্তব্য করা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৯ ১৬:৫১
Share:

সৈকত চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।

মন্তব্য বিতর্কের জেরে এ বার পদত্যাগ করতে চলেছেন মার্কিন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠা সদস্য আলেজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্তেজের চিফ অব স্টাফ সৈকত চক্রবর্তী। তবে, গ্রিন নিউ ডিল বা ‘নয়া সবুজ চুক্তি’ নিয়ে প্রচারের কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। যেটির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে রাশ টানা যাবে আর মার্কিন অর্থনীতিকেও পাল্টে ফেলা যাবে। ভবিষ্যতে অবশ্য সৈকতের সঙ্গে ফের কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ওকাসিও কর্তেজ।

Advertisement

কেন সৈকত চক্রবর্তীকে সরতে হচ্ছে ? প্রথমত, স্পিকার ল্য়ান্সি পেলোসিকে চ্য়ালেঞ্জ করা, দ্বিতীয়ত, মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের প্রতি বর্ণবৈষম্যমবলক মন্তব্য করা। এই অভিযোগ নিয়ে কিছু দিন ধরে তুলকালাম শুরু হয়েছে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। এ জন্য সৈকত চক্রবর্তী ও ওকাসিও কর্তেজের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর করবিন ট্রেন্টকে দলের তরফে তলবও করা হয়।

সৈকতের পদত্যাগ নিয়ে কর্তেজের অফিস থেকে একটি বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সৈকত চক্রবর্তী যে কাজ করেছেন সে জন্য আমরা দারুণ ভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ, সাহসী বিষয় নিয়ে ও নিউ ইয়র্ক-১৪ (ওকাসিও কর্তেজের নির্বাচনী কেন্দ্র) এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের স্বার্থে তিনি কাজ করেছেন। জাস্টিস ডেমোক্র্যাটস নামে অ্যাকশন কমিটি তৈরি, ওকাসিও কর্তেজের প্রচার ও তাঁর সরকারি অফিস পরিচালনা। সৈকতের লক্ষ্য ছিল, প্রগতিশীল আন্দোলনে সাহায্য করা। আশা করি, আমরা ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব।’

Advertisement

আরও পড়ুন: অজিত ডোভাল, গুপ্তচর-গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কাশ্মীর নিয়ে বাড়ছে উৎকণ্ঠা

শুক্রবার, সৈকত চক্রবর্তীর পদত্যাগের কথা প্রকাশ্যে আসে। গত জুন মাসেই নিজের দলেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার কারণ, টুইটারে সৈকতের একটি পোস্ট। সীমান্ত নিরাপত্তা বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। আর সেই বিতর্কের আগুন উস্কে দিয়েছিল সৈকত চক্রবর্তীর ওই টুইট। বিলটি সমর্থন করায় কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সদস্যেকে তির্যক মন্তব্য করেন সৈকত। তিনি লেখেন, ‘এ বার থেকে নিউ ডেমোক্র্যাট ও ব্লু ডগ কক্যাসদের নিউ সাউদার্ন ডেমোক্র্যাট বলতে হবে।’ আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক চরমে ওঠে। পরে পোস্টটি অবশ্য মুছে দিলেও, সেই আগুন নেভেনি।

তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা করেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও। এই প্রথম নয়। এর আগেও, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ছবি আঁকা টি শার্ট পরার জন্যও বিভিন্ন ডানপন্থী দলগুলির আক্রমণের মুখে পড়েন সৈকত। তাঁর সমালোচনা করেন রিপাবলিকানরাও।

গত জানুয়ারিতেই মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হন সবচেয়ে তরুণ সদস্যা আলেজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্তেজ। একইসঙ্গে, তাঁর উত্থানের পিছনে বাঙালি তরুণ সৈকত চক্রবর্তীর নাম উঠে আসে।

আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে পৃথিবী, উৎক্ষেপণের ১২ দিনের মাথায় প্রথম ছবি পাঠাল চন্দ্রযান-২​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement