—প্রতীকী চিত্র।
গত দু’দিনের হামলার জবাব দিল হিজ়বুল্লা। ইজ়রায়েলের রাজধানী শহর তেল আভিভ লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠীটি। ইজ়রায়েলি বাহিনী অবশ্য জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে মাঝপথেই ধ্বংস করেছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কোনও হতাহতের খবরও নেই। বরং তাদের দাবি, দক্ষিণ লেবাননের যে জায়গা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছিল, সেই স্থানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তারা।
গত দু’দিন ধরে লেবাননে টানা বোমা ফেলে চলেছে ইজ়রায়েল। নিহতের সংখ্যা ৫৬০ ছাড়িয়েছে। ইজ়রায়েলি বাহিনী বা আইডিএফ গত কাল দাবি করেছে, তারা হিজ়বুল্লার শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ইব্রাহিম মুহম্মদ কোয়াবিসিকে হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে বেরুটের ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ইউনিট-ও ধ্বংস করেছে তারা। ইজ়রায়েলের ব্যাখ্যা, ১৯৮০-র দশকে হিজ়বুল্লায় যোগ দেন কোয়াবিসি। সেই থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীটির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। ইজ়রায়েলের কথায়, বহু ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন কোয়াবিসি, তাই উপযুক্ত কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। হিজ়বুল্লা কোয়াবিসির মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘জেরুসালেমের পথে শহিদ।’’ আজ ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, লেবাননে হামলার গতিবেগ আরও বাড়ানো হবে। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে এলাকা ফাঁকা করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে।
হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক, হিজ়বুল্লার সঙ্গে ইজ়রায়েলের চাপানউতোর বেড়েছে। গাজ়ার সমর্থনে হিজ়বুল্লা রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা চালিয়েই যাচ্ছে উত্তর ইজ়রায়েলে। জবাবে ইজ়রায়েলও আকাশপথে বিধ্বংসী হামলা চালাচ্ছে। হিজ়বুল্লার একাধিক নেতাকে মেরেছে তারা। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেনপোপ ফ্রান্সিস।