প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।
শুধু মাত্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই নয়। দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশ্নে ভারতকেই প্রধান অংশীদার করে এগোতে চায় আমেরিকার নতুন বাইডেন প্রশাসন। তিন দিনের ভারত সফরে এসে এই বার্তাই দিয়ে গেলেন সে দেশের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর বক্তব্য, “আমরা মনে করি, ভারত আমাদের এক দুর্দান্ত অংশীদার। ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে এক সঙ্গে ফলপ্রসূ কাজ করা হয়েছে। যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে আরও কিছু ক্ষেত্রে জোট বাঁধার। গোটা অঞ্চলের শান্তি এবং সংহতি নিশ্চিত করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ।’’
দিল্লি এসে একের পর এক নেতার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন লয়েড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও। আলোচনা হয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা একাধিপত্য কমিয়ে খোলামেলা, উদার এবং সমৃদ্ধ এক বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত যোগাযোগ গড়ে তোলার। লয়েডের কথায়, “আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম, তথ্য আদানপ্রদানের মতো বিষয়।’’
ট্রাম্প সরকারের কর্তাদের মতো ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি চিনের নাম করে তোপ দাগতে দেখা যায়নি বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তাকে। চিন নিয়ে সরাসরি প্রশ্নের জবাব তিনি দিয়েছেন ইঙ্গিতে। ভারত এবং আমেরিকার এই সহযোগিতার নিশানা কি চিন নয়? এই প্রশ্নের উত্তরে অস্টিনের বক্তব্য, “আমি মনে করি সমমনস্ক দেশগুলির এক সঙ্গে কাজ করে যাওয়া উচিত। যে ভাবে আমরা ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার পথে হাঁটছি, সে ভাবেই নৌ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া, জাপান-সহ অঞ্চলের অন্যান্যদের সঙ্গেও কাজ করব। উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চাই আমরা।’’
সমুদ্রপথে আরও বেশি করে মহড়ার প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন আমেরিকার এই কর্তা। সেই সঙ্গে এই ইঙ্গিতও দিয়েছেন, মালাবার মহড়ায় সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াকে মালাবার মহড়ার স্থায়ী সদস্য করা হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে ইতিবাচক ভাবেই লয়েডের উত্তর, “আমরা সব সময়ই সেই সব দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, যেখানে আমাদের লক্ষ্য এবং মূল্যবোধ এক।’’