—ফাইল চিত্র
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের আসনে বসতে মাসাধিককাল বাকি জো বাইডেন-এর। তবে এখন থেকেই চিন প্রশ্নে হাওয়া গরম হতে শুরু হল ওয়াশিংটনে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একতরফা ভাবে সংঘাতের পরিস্থিতি হয়তো তৈরি করবেন না বাইডেন। কিন্তু বিভিন্ন অক্ষ তৈরি করে অবশ্যই চিনকে মোকাবিলায় সক্রিয় হবেন। এই বিষয়ে তাঁর উপরে আমেরিকার প্রশাসন এবং কংগ্রেসের চাপও থাকবে।
সম্প্রতি সে দেশের বর্তমান সরকারের শীর্ষতম গোয়েন্দা কর্তা জন র্যাডক্লিফ একটি নিবন্ধ লিখে সাড়া ফেলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘এখন আমেরিকার সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ চিন। শুধু আমেরিকাই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির সামনে এত বড় বিপদ আসেনি।’’ আমেরিকার শীর্ষ গোয়েন্দা কর্তা র্যাডক্লিফ ওই নিবন্ধে বলেছেন, ‘‘চিন আমেরিকার কংগ্রেসের বেশ কিছু সদস্যকে প্রভাবিত করার জন্য গোটা বছর ধরে চেষ্টা করে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: অন্তর্জলী যাত্রার পথে চলেছে তৃণমূল, রায়গঞ্জে মহামিছিলের পর তোপ অধীরের
আরও পড়ুন: এক লাফে কমল দৈনিক আক্রান্ত, কমেছে দৈনিক সুস্থতাও
র্যাডক্লিফের এই হুঁশিয়ারি সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। কিন্তু এর আগেও ধারাবাহিক ভাবে আমেরিকার কর্তাদের কাছ থেকে চিনের পক্ষ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সামরিক আগ্রাসনের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্কতা এসেছে। বাইডেন সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা সম্পর্কেও মুখ খুলেছেন অনেকেই। তবে র্যাডক্লিফ যে ভাবে চিনকে আক্রমণ করেছেন তা সে দেশের কোনও সরকারি কর্তা এর আগে করেননি বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আমেরিকাকে তার শক্তিকেন্দ্র থেকে হটিয়ে দেওয়া এবং বিশ্বকে নিজের ছাঁচে গড়ার যে চেষ্টা চিন করে চলেছে তার মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে, তার উপরেই আমাদের প্রজন্মের বিচার হবে। আমেরিকার সঙ্গে খোলাখুলি সংঘর্ষের জন্য বেজিং প্রস্তুতি নিচ্ছে। নেতারা এ বিষয়টি খেয়াল রেখে তার মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন। এ ব্যাপারে কোনও দলীয় ভেদাভেদ রাখা উচিত নয়।’’
বাইডেন শিবির জানাচ্ছে, নতুন জমানার বিদেশনীতিতে অবশ্যই চিন সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা নেওয়া হবে। কিন্তু ট্রাম্পের মতো শরিক রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কথা না বলে চিন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবেন না বাইডেন। আমেরিকান কংগ্রেসের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতারা চাইছেন বাইডেন চিনের প্রশ্নে কড়া নীতি নিয়েই চলুন। তবে আগের জমানার তুলনায় অনেক সপ্রতিভ এবং বহুপাক্ষিক পদ্ধতির মাধ্যমেই চিনকে সামলানোর কথাই বলছেন তাঁরা। যাতে আমেরিকার কর্মীরা কোথাও পিছিয়ে না পড়েন এবং সেমিকন্ডাক্টার, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং অথবা দূষণমুক্ত শক্তি ক্ষেত্রগুলিতে যেন আমেরিকার আধিপত্য বহাল থাকে।