Stan Swamy

Stan Swamy: স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে  নিন্দা আমেরিকারও

এই বিষয়ে আরও তীব্র ভাষায় ভারত সরকারের সমালোচনা করেছে আমেরিকান সরকারের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২১ ০৮:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে এ বার ভারতকে নিশানা করল আমেরিকান সরকারের দু’টি বিভাগ।

Advertisement

এলগার পরিষদ মামলায় জেল হেফাজতে থাকার সময়েই সম্প্রতি মুম্বইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় স্বামীর। দেশের বিভিন্ন শিবিরের পাশাপাশি এ নিয়ে আগেই আন্তর্জাতিক স্তরেও সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত।

আমেরিকার বিদেশ দফতরের অন্তর্গত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিভাগের তরফে টুইটারে বলা হয়েছে, ‘‘জেসুইট ধর্মযাজক ও জনজাতি অধিকার আন্দোলনের কর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। ইউএপিএ আইনে অভিযুক্ত হয়ে ভারত সরকারের হেফাজতে থাকার সময়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ গণতন্ত্রে সমাজকর্মীদের অধিকারকে সম্মান জানাতে আমরা সব দেশের সরকারকে অনুরোধ করছি।’’

Advertisement

এই বিষয়ে আরও তীব্র ভাষায় ভারত সরকারের সমালোচনা করেছে আমেরিকান সরকারের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন। ওই কমিশনের চেয়ারপার্সন নাদিন মায়েনজ়ার বক্তব্য, ‘‘ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কী ভাবে নিশানা করা হয়।’’ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ভারত সরকারকে কড়া বার্তা দিতে আমেরিকান সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি।

নাদিনের মতে, ইচ্ছে করেই স্ট্যান স্বামীর বিষয়টিকে অবহেলা করেছে ভারত সরকার। তাঁকে ইচ্ছে করেই নিশানা করা হয়েছিল। তার ফলে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশনের কমিশনার অরুণিমা ভার্গব বলেন, ‘‘স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, আদিবাসী, সংখ্যালঘু ও গরিব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন।’’ অরুণিমার বক্তব্য, ‘‘ভারত সরকার তাঁকে কোনও বিচার বা কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াই বেশ কয়েক মাস বন্দি করে রেখেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্বামীর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছিল। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল নানা আন্তর্জাতিক শিবির।’’

স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে ‘বার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’। আজ এক বিবৃিততে তারা বলেছে, ‘করোনা কালে ৮৪ বছর বয়সি এক জন অসুস্থ ব্যক্তিকে বিচারের পূর্বে এত দিন আটকে রাখা হয়েছিল। যা নিষ্ঠুরতা এবং অস্বাভাবিক প্রাতিষ্ঠানিক অপব্যবহার। এক্ষেত্রে আইনের শাসন মানা হয়নি এবং এটি একটি গভীর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement