আমাজন কর্তা জেফ বেজোস। ছবি: সংগৃহীত।
মোট সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়ল আমাজন কর্তা ও সিইও জেফ বেজোসের। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ হাজার ১৬০ কোটি ডলার। বুধবার আমাজনের শেয়ারের দাম ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেজোসের সম্পদের পরিমাণও এক লাফে ১৬ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার থেকে বর্তমান অঙ্কে পৌঁছয়।
করোনাভাইরাসের জেরে অতিমারির কারণে যখন গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল, এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েও আমাজন একাই এ বছরে পাঁচ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে। লকডাউনের জেরে আমাজনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আগের তুলনায় কেনাকাটা অনেক গুণ বেড়েছে। ফলে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্য দিকে, জেফের প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসেরও সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলার কারণে সংস্থার এক-তৃতীয়াংশ ভাগ ছেড়ে দিতে হয়েছিল জেফকে। বিবাহবিচ্ছেদের পর তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি আমাজনের ৪ শতাংশ শেয়ারের অধিকারী হন। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ পাঁচ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স-এ ম্যাকেঞ্জি দ্বাদশ ধনীতম ব্যক্তি হলেও মোট সম্পত্তির পরিমাণে পিছনে ফেলে দিয়েছেন অ্যালিস ওয়াল্টন এবং জুলিয়া ফ্লেশার কচকে। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী মহিলা হিসেবে উঠে এসেছেন। তাঁর আগেই রয়েছেন ল’রিয়েল সংস্থার মালিক ফ্যাঙ্কোয়েস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স।
তবে অতিমারির পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব বড় সংস্থাই যে লাভবান হয়েছে এমনটা নয়। আমাজন ছাড়া এই পরিস্থিতিতে যে সংস্থাগুলো লাভবান হয়েছে তার বেশিরভাগ প্রযুক্তি সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে টেসলা এবং জুম ভিডিয়ো কমিউনিকেশনস।
অন্য দিকে, সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে স্পেনের অ্যামানিকো ওর্তেগার, ওয়ারেন বাফে এবং বার্নার্ড আরনল্টের।
আরও পড়ুন: বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবই কমিউনিস্ট পার্টির প্রকৃত স্বরূপ, মনে করেন ট্রাম্প