বালুচিস্তানের পর এ বার কি সিন্ধও স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল হচ্ছে? —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার ডাক দিলেন সে দেশেরই একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা আলতাফ হুসেন। লক্ষ্যে পৌঁছতে ইজরায়েল, ইরান, আফগানিস্তান এবং ভারতের থেকে সাহায্য চাওয়া হবে বলেও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) নেতা আলতাফ হুসেন নিজের দলের কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন। আলতাফের সঙ্গে দলের কর্মীদের ফোনে কথোপকথনের একটি রেকর্ড পাক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই রেকর্ডেই আলতাফ হুসেনকে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে বলে পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর।
আলতাফ হুসেনের দল এমকিউএম পাকিস্তানে নেহাৎ ছোট রাজনৈতিক দল নয়। পাকিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম দল সেটি। সিন্ধ প্রদেশে এই দলের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সে রাজ্যের প্রাদেশিক আইনসভার এক-তৃতীয়াংশ আসনই তাদের দখলে। করাচি এবং হায়দরাবাদে এমকিউএম-ই সবচেয়ে বড় দল। পাক জনগোষ্ঠীর যে অংশ মুহাজির নামে পরিচিত, তাঁদের মধ্যেই এমকিউএম-এর জনভিত্তি সবচেয়ে বেশি। আলতাফ হুসেন এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি দলের কর্মীদের সঙ্গে ফোনে আলতাফের একটি কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ্যে এসেছে বলে পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি। সেই কথোপকথনে যে কণ্ঠস্বরটিকে আলতাফের কণ্ঠস্বর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই কণ্ঠস্বরের ব্যক্তিকে পাক কর্তৃপক্ষ এবং সেনার বিরুদ্ধে লড়াই তীব্র করার ডাক দিতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের সাহায্য করার জন্য আমি ইজরায়েলকে, ইরানকে, আফগানিস্তানকে এবং ভারতকে ডাকতে পারি।’’ তাঁকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি আইসিস তৈরি করব, আল কায়েদা তৈরি করব, তালিবান তৈরি করব এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ব। পাকিস্তানকে ভেঙে দেওয়ার জন্য বিদেশি সাহায্য মিলবে বলেও তিনি ফোনে জানান কর্মীদের। আলতাফ হুসেন কথোপাকথনের শেষ দিকে বলেছেন, ‘‘ঈশ্বর পাকিস্তানকে ধ্বংস করুন এবং ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিন।’’ তাঁর কতার উত্তরে কর্মীরা বলেছেন, ‘‘আমিন, সুমা আমিন।’’ অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছে আলতাফের যে প্রার্থনা, তাঁকে সমর্থন করেছেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর, বালুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, উদ্বিগ্ন আমেরিকা
এই ফোন কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। আলতাফ হুসেন এবং তাঁর দল এমকিউএম-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শিবির। কিন্তু আলতাফ হুসেন সহ এমকিউএম নেতাদের পাক সরকার এত বার অকারণে হেনস্থা করেছে যে তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগ মুহাজিরদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।