britain

আগামী ৫ মাস সামাজিক উৎসব নিষিদ্ধ হতে পারে ব্রিটেনে

সপ্তাহখানেক আগেও ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চাইছেন বড়দিনের সময় এক মাস সারা দেশে যাবতীয় করোনাবিধির ফাঁস খুলে দিতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ১২:৫৪
Share:

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। -ফাইল ছবি।

ঘরের বাইরে উৎসব পালনে দিনকয়েক আগেও তেমন আপত্তি ছিল না ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। কিন্তু এক ছাদের তলায় কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান নৈব নৈব চ।

Advertisement

সপ্তাহখানেক আগেও ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চাইছেন বড়দিনের সময় এক মাস সারা দেশে যাবতীয় করোনাবিধির ফাঁস খুলে দিতে। মানুষকে উৎসবের আনন্দে মাতার সুযোগ দিতে। আর শুক্রবার তাঁর প্রশাসনেরই এক পদস্থ কর্তা জানালেন, আগামী এপ্রিল পর্যন্ত গোটা ব্রিটেনে কার্যত নিষিদ্ধ হতে চলেছে এক ছাদের তলায় কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান। জটলা, জমায়েত। এপ্রিলেই ইস্টারের উৎসব।

কেন? জনসন প্রশাসনের ওই কর্তার কথায়, ‘‘করোনা সংক্রমণ প্রত্যাশিত ভাবে রোখা যায়নি। পরিস্থিতি জটিল। সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশের যে এলাকাগুলিতে ‘টায়ার-২’ এবং ‘টায়ার-৩’ পর্যায়ের কড়াকড়ি রয়েছে, আগামী বসন্তে সেই এলাকাগুলিতে কড়াকড়ি কমিয়ে এনে ‘টায়ার-১’ পর্যায়ের নিয়মকানুন ফের চালু করা যাবে, এমন আশা করাটা অসম্ভবই মনে হচ্ছে।’’

Advertisement

এই নিয়ম চালু হলে ব্রিটেনে জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশই চলে যাবেন টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ পর্যায়ের নিরাপত্তার কড়াকড়ির আওতায়। যা ‘কার্যত দেশ জুড়ে লকডাউনই’।

টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ পর্যায়ের নিরাপত্তায় কোনও বিবাহ অনুষ্ঠানে ১৫ জনের বেশি জমায়েত করা নিষিদ্ধ। আর কোনও অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানে সেই সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমা ৩০ জন।

আরও পড়ুন: যাত্রিবাহী সব বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

আরও পড়ুন: সপ্তম পর্বের আনলকে নয়া করোনা নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

তা হলে কেন বড়দিনের উৎসবের সময় আগামী এক মাস আমজনতার জন্য যাবতীয় করোনাবিধি শিথিল করার ভাবছেন বলে গত সপ্তাহেও জানিয়েছিল ডাউনিং স্ট্রিট, তার জবাব মেলেনি অবশ্য।

জনসন প্রশাসনের ওই সূত্র এও জানিয়েছেন, সারা দেশে টায়ারগুলিকে ঢেলে সাজার কথা ভাবা হচ্ছে। আরও বেশি সংখ্যক এলাকাকে টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ পর্যায়ের নিরাপত্তার কড়াকড়ির আওতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। এমনকী, বিজ্ঞানীদের একাংশ যে দাবি কিছু দিন ধরে তুলেছেন, সেই টায়ার-৪ পর্যায়ের কড়াকড়ি চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে কয়েকটি এলাকায়। টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ পর্যায়ে থাকা কোনও কোনও এলাকার কড়াকড়ি টায়ার-৪ পর্যায়ে উন্নীত করার কথাও প্রশাসনের মাথায় রয়েছে।

জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি)-রই একাংশের মধ্যে এই পদক্ষেপ ও ভাবনাচিন্তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতি খুবই বেহাল হয়ে পড়েছে। এ বার এই কড়াকড়িতে তা আরও বেহাল হয়ে পড়বে।’’

টোরি দল সূত্রে খবর, এর প্রতিবাদে আগামী সপ্তাহে রাস্তায় নামতে চলেছেন ৫০ জন টোরি এমপি।

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এর ফলে পার্লামেন্টে কড়াকড়ি জারির প্রস্তাব পাশ করাতে বিরোধী লেবার পার্টির এমপি-দের উপরেই ভরসা করতে হতে পারে প্রধানমন্ত্রী জনসনকে।’’

এই মুহূর্তে ব্রিটেনের দক্ষিণ-পূর্বের ১টি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের ২টি এলাকা ছাড়া সারা দেশেই জারি রয়েছে টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ পর্যায়ের কড়াকড়ি।

সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে এক মাস আগের তুলনায় শুক্রবার ব্রিটেনে দিন-পিছু সংক্রমিতের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে দিন-পিছু মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement