প্রতীকী ছবি।
গাছগাছালির ছায়াঘেরা শান্ত হ্রদের জলেই যে আস্ত বিপদ লুকিয়ে, তা কে জানত! শনিবার বিকেলে তা হাতেনাতে টের পেলেন এক সাঁতারু। ব্রাজিলের ওই হ্রদের জলে নামতেই তাঁর দিকে ধেয়ে এল বিশালকায় একটি অ্যালিগেটর। তার পর কী হল? সে ঘটনা ভিডিয়ো মোবাইলবন্দি করেছেন উইলিয়ান কায়েতানো নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা।
ব্রাজিলের কাম্পো গ্র্যাঞ্জ শহরের লাগো দি আমোর নামের হ্রদের জলে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এলাকার বাসিন্দারা তো বটেই, পর্যটকেরাও সেখানে বে়ড়াতে এসে হ্রদের জলে নামেন না। তবে শনিবার বিকেলে সে সবের পরোয়া না করেই জলে নেমেছিলেন এক সাঁতারু। তার পরের ঘটনা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হয়েছে। সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া কায়েতানোর তোলা ভিডিয়োটি।
ঘটনার সময় লেকের ধারেই ছিলেন কায়েতানো। তাঁর তোলা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জলে নামতেই ওই সাঁতারুর দিকে দ্রুত ধেয়ে আসছে একটি প্রমাণ সাইজের অ্যালিগেটর। প্রাণ বাঁচাতে তড়িঘড়ি সাঁতরে পাড়ের দিকে এগোতে থাকেন ওই ব্যক্তি। তবে অ্যালিগেটরের গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি তিনি। নিমেষে তাঁকে আক্রমণ করে অ্যালিগেটরটি। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে হ্রদের জল থেকে উঠে আসেন সাঁতারু।
সংবাদমাধ্যমে কায়েতানো জানিয়েছেন, বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ হ্রদের জলে নেমে সাঁতার কাটতে শুরু করেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘‘ওই লোকটিকে হ্রদের জলে দেখামাত্র অ্যালিগেটরটি হঠাৎই তাঁকে তাড়া করে। তাড়াতাড়ি সাঁতরেও অ্যালিগেটরের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি ওই সাঁতারু। জল থেকে বেরিয়ে আসতেই দেখি, ওই লোকটির হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে। সারা দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। লোকটি তো ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন।’’
স্থানীয়রাই ওই সাঁতারুকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই সাঁতারুর হাতে কামড়ে মাংস খুবলে তুলে ফেলেছিল অ্যালিগেটরটি। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে, অ্যালিগেটরের কামড়ের সেই জখম নাকি তেমন গুরুতর নয়।