Israel

আমিরশাহির শান্তি-চুক্তিতে ক্রুদ্ধ খামেনেই

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেহরান শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৫৪
Share:

ছবি এএফপি।

দীর্ঘদিনের শৈত্য কাটিয়ে মার্কিন মধ্যস্থতায় সদ্য সন্ধি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইজ়রায়েলের। আবু ধাবিতে গত কাল নেমেছে ইজ়রায়েলের বিমান। কিন্তু এই চুক্তি করে আরব তথা মুসলিম দুনিয়ার সঙ্গে আমিরশাহি প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ তুললেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই।

Advertisement

মিশর এবং জর্ডনের পরে আরব দুনিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে আমিরশাহি শান্তি চুক্তি করল ইজ়রায়েলের সঙ্গে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মত ছিল, ইরানকে একযোগে কোণঠাসা করার লক্ষ্যেই আমিরশাহিকে দিয়ে এই চুক্তি করিয়েছে আমেরিকা। এ নিয়ে ইরান আগে প্রচ্ছন্ন হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। আজ খামেনেই সরাসরি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটারে লেখেন, ‘‘মুসলিম দুনিয়া ও আরব দুনিয়ার সঙ্গে প্রতারণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এই প্রতারণা অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হবে না, কিন্তু ওদের লজ্জাটা রয়ে যাবে। আমি আশা করি, আমিরশাহির দ্রুত ঘুম ভাঙবে এবং যা করেছে তার মূল্য ওরা দেবে।’’ খামেনেইয়ের অভিযোগ, প্যালেস্তাইনের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে ইহুদি রাষ্ট্রটির সামনে আরব দুনিয়ার সংশ্লিষ্ট এলাকার দরজা খুলে দিয়েছে আবু ধাবি।

এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে কাতারের সঙ্গে অন্য এক লড়াই চলছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-সহ কয়েকটি দেশের। সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল আমিরশাহি, সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, ইয়েমেন এবং লিবিয়া। এমনকি কাতারের আকাশপথও অবরোধ করা হয়েছিল। গত কাল ‘দ্য হেগ’-এর আন্তর্জাতিক আদালতে কাতার অভিযোগ করেছে, এই সমস্ত পদক্ষেপ জাতিবিদ্বেষের শামিল। ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে শুনানিতে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আমিরশাহির বিদেশ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক আইন দফতরের ডিরেক্টর আবদাল্লা আল-নাকবি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থায় কাতারের মদত দেওয়াটাই বড় বিপদ ডেকে এনেছিল। জাতিবিদ্বেষের প্রশ্ন নেই।’’ এই প্রসঙ্গে ইজ়রায়েলের সঙ্গে শান্তি-চুক্তির পরোক্ষ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে আদালত জানবে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বাধা দূর করে সেতু বাঁধতেই আগ্রহী।’’ কাতারের অভি‌যোগ খারিজের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement