ছবি: রয়টার্স।
আফগানিস্তান জয়ে তালিবানকে সাধুবাদ জানিয়ে কাশ্মীরের ‘মুক্তির’ ডাক দিল আল কায়দা। একই সঙ্গে বিশ্বের সমস্ত ইসলাম ভূমিকে তাদের ‘শত্রু’র হাত থেকেই মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
আমেরিকার সেনাবাহিনী কাবুল বিমানবন্দর ছাড়তেই ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ ঘোষণা করে তালিবান। তালিবানের এই জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আল কায়দা যে ভাবে কাশ্মীর ‘মুক্তি’র ডাক দিয়েছে তাতে চিন্তা বেড়েছে নয়াদিল্লির। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে গত কয়েক দিনে জঙ্গি তৎপরতা এবং হামলা বেড়েছে। তালিবান ক্ষমতায় আসার অব্যবহিত পরেই লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিগোষ্ঠী জম্মু-কাশ্মীরে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে তালিবানের সহযোগিতা চেয়েছে। এ বার কাশ্মীর নিয়ে আল কায়দা-র তৎপরতা নয়াদিল্লির উদ্বেগকে আরও বাড়াল।
ইসলাম ভূমিকে ‘মুক্তি’র ডাক দিয়ে আল কায়দা একটি বিবৃতিও জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘লেভান্ত, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর এবং বাকি ইসলাম ভূমিকে শত্রুর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’ ওই বিবৃতিতে আমেরিকাকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ‘যারা অপমান করেছে, সেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পরাজয় ফের আফগানিস্তানকে মুক্তির স্বাদ দিয়েছে। আর এটা প্রমাণ করছে যে জয়ের একমাত্র রাস্তা জিহাদ।
তালিবান যখন নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সময় তালিবানের জয়ে প্রশংসা করে আল কায়দার এমন ডাক তালিবানের ভাবমূর্তিকে ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রশ্নও উঠছে, তালিবান যতই মুখে আল কয়দার সঙ্গে দূরত্ব রাখার কথা বলুক, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ যোগ এখনও বজায় রয়েছে সেটা প্রকাশ্যে চলে এল। তা ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেখানেও এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠতা কমেছে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি করা হয়েছে।
ওসামা বিন লাদেন যখন আমেরিকায় ৯/১১ হামলা চালালেন, সেই সময় তালিবানের আশ্রয়েই ছিলেন বলে বহু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। লাদেনকে আফগানিস্তানেই লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল তালিবান। সম্প্রতি কাবুল দখল করার পর তালিবান দাবি করেছে, ৯/১১ হামলার সঙ্গে লাদেনের কোনও যোগ নেই। এমনকি এ কথা তারা বিশ্বাসও করে না।