বিমানে ওঠার পর টিকটকে পোস্ট করবেন বলে একটি ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন তিনি। ছবি: টুইটার
রবিবার ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানের ভিতর থেকে ভিডিয়ো বানিয়ে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করছিলেন এক বিমানকর্মী। কিন্তু ভিডিয়োটি পোস্ট করার কয়েক মুহূর্ত পরেই যে জীবন চলে যেতে পারে, তা ভাবতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ওই বিমানকর্মীর নাম ওশিন অ্যালে। নেপালের বাসিন্দা তিনি। টিকটকে নিজের ভিডিয়ো পোস্ট করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ওশিন। রবিবার ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানে কর্মীর দায়িত্বভার ছিল তাঁর উপর। বিমানে ওঠার পর টিকটকে পোস্ট করবেন বলে একটি ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন তিনি। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
পরে, নিজের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ভিডিয়ো পোস্টও করেছিলেন ওশিন। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানের আসনগুলি তখনও ফাঁকা। ভিডিয়োটি করার মুহূর্তে কোনও যাত্রী বিমানে ওঠেননি। ফোনের সামনের ক্যামেরা অন রেখে ‘সেলফি মোড’-এ ভিডিয়োটি তৈরি করেছিলেন ওশিন।
রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ ৬৮ জন যাত্রী এবং ৪ জন বিমানকর্মী নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে উড়ান দিয়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্স সংস্থার একটি বিমান। কিন্তু অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনার দিন থেকেই এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ঘুরছে। সে দিন বিমানে যে ৪ জন বিমানকর্মী উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জন দুর্ঘটনার আগে তাঁর নিজের অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। বিমান ভেঙে যাওয়ার পর সেই ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ে।
দেব আহলাওয়াত নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন। ওশিনের এই হাসিখুশি ভিডিয়ো দেখে মন ভারী হয়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘‘মানুষের ভাগ্যে যে কখন কী লেখা থাকে, তা সত্যিই বলা কঠিন।’’