ছবি: এএফপি।
মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের বন্দুকবাজের হামলায় টেক্সাসে মৃত্যু হল সাত জনের। আহত অন্তত ২১। তাঁদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ১৭ মাসের একটি শিশু রয়েছে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বন্দুকবাজেরও।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী মধ্য তিরিশের এক শ্বেতাঙ্গ যুবক। তবে হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। শনিবার ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ। টেক্সাসের ৩২ কিলোমিটার পশ্চিমে মিডল্যান্ড ও ওডেসা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায়। ট্রাফিক আইন ভাঙায় একটি সোনালি রঙের গাড়িকে থামানোর চেষ্টা করে টেক্সাসের হাইওয়ে নিরাপত্তা পুলিশ। তাতে পাত্তা না দিয়ে চলন্ত গাড়ির জানলা দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় হামলাকারী। এর পরে পথচারী, মোটরসাইকেল ও গাড়ির আরোহীদের লক্ষ করে গাড়ি থেকেই গুলি চালাতে চালাতে এগোতে থাকে সে।
এক সময়ে নিজের গাড়িটি ছেড়ে একটি ট্রাক ছিনতাই করে সেটি নিয়ে হামলা চালায় বন্দুকবাজ। শেষমেশ একটি সিনেমাহলের সামনে এসে তাকে কোণঠাসা করে ফেলে পুলিশ। হলটির পার্কিং লটে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। একটা সময়ে পুলিশ মনে করেছিল এক জন নয়, হামলাকারী আদতে দু’জন। পরে সেই ভুল ভাঙে। আহতদের মধ্যে তিন জন পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। যদিও তাঁদের প্রত্যেকের গুলি লাগেনি। গুলিতে গাড়ির জানলার কাচ ভেঙে আহত হয়েছেন দু’জন।
স্বামী ও নাতিকে নিয়ে ওডেসার রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন সনা স্যাক্সটন। সিগন্যালে গাড়ি থামানোর সময়েই গুলির আওয়াজ পান তাঁরা। স্থানীয় টেলিভিশনে সনা বলেছেন, ‘‘জানলা দিয়ে বাঁ দিকে তাকিয়ে দেখি একটি সোনালি গাড়ি থেকে বিরাট বন্দুক তাক করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে এক যুবক। আমার সামনে আরও দু’টি গাড়ি থাকায় এগোতে পারছিলাম না। প্রাণপণে হর্ন বাজাতে বাজাতে আতঙ্কে কাঁপছিলাম। এর পরে কোনও রকমে সামনে এগিয়ে যাই। গাড়িটিও রাস্তার অন্য দিকে ঘুরে যায়।’’ সনারা পালাতে পারলেও পিছন থেকে তিন বার গুলির আওয়াজ কানে এসেছে বলে জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা।
হামলার সমালোচনায় টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এফবিআই ও আইন রক্ষাকারী দফতর তদন্ত করছে।