—ফাইল চিত্র।
শীর্ষে অবশ্যই আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে নরেন্দ্র মোদীর ভারত! বিশ্বের করোনা-সংক্রমণ তালিকায় নয়। ভারত এখনও সেখানে তিনে। করোনা-পরীক্ষার নিরিখে ভারতকে এই ‘শংসাপত্র’ দিল হোয়াইট হাউস। তারা দাবি করেছে, রেকর্ড সংখ্যক টেস্ট হয়েছে আমেরিকায়, ৪ কোটি ২০ লক্ষ। তার পরেই ভারত দ্বিতীয় স্থানে। ১ কোটি ২০ লক্ষ পরীক্ষা হয়েছে ভারতে।
গোটা বিশ্বে সংক্রমিত ১ কোটি ৪০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মারা গিয়েছেন ছ’লাখের কাছাকাছি। এ ক্ষেত্রেও শীর্ষে থাকা আমেরিকায় আক্রান্ত ৩৬ লক্ষ নাগরিক। মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষ। করোনা রুখতে ট্রাম্পের এই ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা চলছে। এর পরই আজ হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রেস সচিব কেলি ম্যাকেনানি ঘোষণা করেন, ‘‘আমরা ৪ কোটি ২০ লক্ষ পরীক্ষা করেছি। দ্বিতীয় স্থানে ভারত, ১ কোটি ২০ লক্ষ। করোনা পরীক্ষাতে আমরা সব চেয়ে এগিয়ে।’’
এমন কথা আগে বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকায় বেশি পরীক্ষা হচ্ছে বলেই এত সংখ্যক সংক্রমিত। অন্য দেশে ঠিক মতো পরীক্ষা হলে সংক্রমণ বাড়ত।’’ এ দিন বরং হোয়াইট হাউসের সংযোজন, ‘‘আগের জমানায় এমন হয়নি!’’
এইচ১এন১ ফ্লু-র প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে। একটি মার্কিন সংবাদ সংস্থার পুরনো রিপোর্ট তুলে ধরে কেলি জানান, ২০০৯ সালে ওবামা-বাইডেন জমানায় ‘দ্য সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ হঠাৎই বিভিন্ন প্রদেশগুলোকে ফ্লু-র পরীক্ষা ও সংক্রমিতের সংখ্যা গণনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। কেলি এ-ও বলেন, ‘‘ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিফ অব স্টাফ সে সময়ে গোটা বিষয়টা ভাগ্যের উপরে ছেড়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘এটা সৌভাগ্য, এইচ১এন১ ফ্লু-তে গণমৃত্যু হয়নি।’ বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিন্তু তা করেননি। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লক্ষ্যে দেশে ১৩টি গবেষণা চলছে।’’
গোটা বিশ্বে এমন অসংখ্য গবেষণা চলছে। সোমবার অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন-রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার কথা ল্যানসেট-এ। এর মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, করোনার প্রতিষেধক সংক্রান্ত তথ্য চুরির চেষ্টায় রয়েছে রুশ হ্যাকাররা। আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অভিযোগ, রুশ হ্যাকাররা একাধিক সাইবার হামলা চালিয়েছে। ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিয়োরিটি সেন্টার’ জানিয়েছে, হ্যাকার দলটির নাম ‘এপিটি২৯’ ওরফে ‘দ্য ডিউকস’ ওরফে ‘কোজ়ি বেয়ার’। তবে ইতিমধ্যেই তথ্য চুরি হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেনি তারা।