আরও একটি ঘূর্ণিঝড় হানা দিতে পারে। প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি নির্ধারণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ঝড়ের ক্ষত শুকোনোর আগেই আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত দিল সে দেশের আবহাওয়া দফতর।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের তরফে আব্দুল মান্নান এ কথা জানিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশবাসীকে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবাণীর কথা জানিয়েছেন সে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ এনামুর রহমানও। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাল ভাবে ঝড় মোকাবিলা করার জন্য সোমবার রাত ১টা ১০ মিনিটে তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, ডিসেম্বরের সম্ভাব্য ঝড়ের প্রেক্ষিতে আগেভাগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সোমবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে বরিশালের কাছে তিনকোনা ও সন্দ্বীপের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সে দেশে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে প্রচুর ফসলের। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। এর আগেও একাধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের বুকে। যার জেরে গত চার বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে সে দেশে। এই পরিস্থিতিতে বছর শেষে আবার ঘূর্ণিঝড় হানা দিলে, পদ্মাপারের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।