ছবি সংগৃহীত
গত দু’মাসের মধ্যে চলতি সপ্তাহে বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণ প্রথম বার নিম্নমুখী হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম আফ্রিকা। সেখানে সংক্রমণের হার ৭ শতাংশ বেড়েছে। তার উপরে রয়েছে টিকার সঙ্কট। পর্যাপ্ত টিকার অভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের কোভ্যাক্স কর্মসূচি আফ্রিকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ বছরের মধ্যে আফ্রিকা পাবে মাত্র ১৫ কোটি ডোজ়। ঘাটতি থাকবে ৪৭ কোটির। আর তাতেই আশঙ্কার মেঘ দেখছে হু। আফ্রিকায় হু-র ডিরেক্টর মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, ‘‘টিকাহীন আফ্রিকায় আগামী দিনে করোনার আরও ভয়ঙ্কর নতুন নতুন স্ট্রেন তৈরি হতে পারে। ’’
হু জানিয়েছে, এ বছরের শেষে তারা ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনার যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা আফ্রিকায় সফল করা সম্ভব নয়। সেখানে সাকুল্যে ১৭ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। মোয়েতির মতে, এই পরিস্থিতিতে ধনীদেশগুলি এগিয়ে না এলে আফ্রিকায় টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়।
এ দিকে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের উপরে করোনা প্রতিষেধক কতটা কার্যকর তা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করেছে চিনের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিনোভ্যাক বায়োটেক। সংস্থার সূত্রে খবর, দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি চিলি, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সে ছয় মাস থেকে ১৭ বছর বয়সি প্রায় ১৪ হাজার শিশুর উপরে তারা এই পরীক্ষা চালাচ্ছে। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা এক বিশেষজ্ঞ
বলেছেন, ‘‘শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের ভয়বহতা তুলনায় কম। তবু ওরাও আক্রান্ত হচ্ছে।’’