Afghanistan

Pakistan Afghanistan relation: পাকিস্তান থেকে দূত ফেরাল আফগানিস্তান

তালিবান প্রধান জানিয়েছেন, ইসলামি আমিরশাহির সাহায্যে ইসলামিক ব্যবস্থা, শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার সব রকম সুযোগ নেওয়া হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২১ ০৬:৪৫
Share:

সংগৃহীত

আমেরিকার সেনা পাততাড়ি গুটোনোর পরপরই গোটা দেশের দখল নিতে প্রবল ভাবে অগ্রসর হচ্ছে তালিবান। তার মধ্যেই রবিবার তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লা আখুনদাজা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে তালিবান প্রশাসন একান্ত ভাবেই চায় যাতে রাজনৈতিক সমাধান হয়। আগামী সপ্তাহে ইদ-এর আগে তাঁর বার্তা, সামরিক দিক থেকে অগ্রসর হতে পারলেও এবং বিপুল এলাকা অধিকারে আনতে পারলেও দেশে রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়টি একান্ত ভাবেই চান তাঁরা। এ দিকে, রবিবার পাকিস্তান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নিল আফগানিস্তান। সম্প্রতি রাষ্ট্রদূতের মেয়ের অপহরণ
ও নির্যাতনের ফলেই এই সিদ্ধান্ত।
এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হল।

Advertisement

বিবৃতিতে তালিবান প্রধান জানিয়েছেন, ইসলামি আমিরশাহির সাহায্যে ইসলামিক ব্যবস্থা, শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার সব রকম সুযোগ নেওয়া হবে। সপ্তাহান্তে আফগানিস্তান সরকার এবং তালিবানের মধ্যে দোহায় নতুন করে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দিয়েছে তারা। আশা করা হচ্ছে, বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে এই আলোচনা শান্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করবে।

দোহায় দু’তরফের মধ্যে দীর্ঘদিন আলোচনা চললেও আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনাবাহিনী পাততাড়ি গুটোনোর পর থেকেই তালিবান যে ভাবে একের পর এক এলাকা দখল করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে এবং এলাকার দখল নিচ্ছে, তাতে এই শান্তি আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়ে গতি হারিয়েছে। রবিবার থেকে
নতুন করে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

তালিবান প্রধান জানিয়েছেন, তাঁরা যুদ্ধ শেষ করতে স্থিরপ্রতিজ্ঞ কিন্তু বিরোধীরা যে ভাবে ‘সময় নষ্ট করছে’ তাতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। তালিবান প্রধানের স্পষ্ট বার্তা, বিদেশিদের উপরে নির্ভর করার পরিবর্তে আসুন আমরা আমাদের মধ্যেকার সমস্যা মিটিয়ে নিই এবং দেশকে এই সঙ্কট থেকে উদ্ধার করি।

মে মাসের গোড়ায় যখন আমেরিকা এবং ন্যাটো চূড়ান্ত ভাবে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে, তার পর থেকেই দুর্বার গতিয়ে এগোচ্ছে তালিবান সেনাবাহিনী। অগস্টে আমেরিকার সেনা পুরোপুরি আফগানিস্তান ছাড়লে দেশের বড় অংশেই তালিবানের শাসন কায়েম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমান শাসকপক্ষের তরফে যে বাধা আসছে, আলোচনা ও শক্তির জোরে তারও নিরসন করতে সক্রিয় হয়েছে তালিবান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement