প্রশ্ন শুনে হাসছেন তালিবান যোদ্ধারা। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
তালিবান রাজত্বের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে আফগানিস্তানে। দু’দশক পর ক্ষমতায় ফেরা তালিবান আশ্বাস দিয়েছে শরিয়তি আইন মেনে মহিলাদের কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু আফগান মহিলারা কি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন?
সম্প্রতি একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। আফগানিস্তানে মহিলা রাজনীতিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তালিবান যোদ্ধাদের প্রশ্ন করেছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। সেই প্রশ্ন শুনে তালিবান যোদ্ধাদের প্রতিক্রিয়াই বুঝিয়ে দিয়েছে মহিলাদের অধিকারের ব্যাপারে তাঁদের মানসিকতা।
‘ভাইস নিউজ’ নামে এক সংবাদমাধ্যম চলতি বছরের শুরুর দিকে তালিবদের নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল। এই ভিডিয়োটি সেই তথ্যচিত্রেরই একটি অংশ। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে হিন্দ হাসান নামের এক সাংবাদিক বোরখা পরে বেশ কয়েক জন তালিবান যোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। সেখানে তালিবান যোদ্ধারা বলছেন, খুব শীঘ্রই আফগানিস্তান তালিবান প্রেসিডেন্ট পাবে। মহিলাদের অধিকার নিয়ে প্রশ্নেরও ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন ওই যোদ্ধারা। এর পরই হিন্দ প্রশ্ন করেন, ‘‘আফগান নাগরিকরা মহিলা রাজনীতিকদেরও ভোট দিতে পারবে কি?’’
এই প্রশ্ন শুনে হাসি চেপে রাখতে পারেননি ওই তালিবান যোদ্ধারা। উচ্চস্বরে হাসতে থাকেন তাঁরা। তার পর ওই মহিলা সাংবাদিককে ভিডিয়ো করা বন্ধ করতে বলেন। এবং তার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যামেরা।
মঙ্গলবার বেশ কয়েক জন সাংবাদিক নিজেদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন ওই ভিডিয়ো। তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে মহিলাদের ভবিষ্যত কী রকম হতে চলেছে, এই ভিডিয়ো তা বুঝিয়ে দিচ্ছে বলে মত নেটাগরিকদের।