(বাঁ দিকে) তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ এবং ধৃত অভিযুক্ত ফুলবাবু (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। বিহারের সমস্তিপুর থেকে ফুলবাবু নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, কসবাকাণ্ডে ধৃতদের জেরা করেই উঠে এসেছে ফুলবাবুর নাম। তার পরই তাঁর খোঁজে বিহার পাড়ি দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। সমস্তিপুরের আধারপুর চাকনিজ়াম গ্রাম থেকে শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে বিহার থেকে এ রাজ্যে আনার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনেই সুশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন এক আততায়ী। সেই আততায়ী যুবরাজ সিংহকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ গুলজ়ারের নাম। পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে আহমেদ আলি নামে ট্যাক্সিচালককেও গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে ফুলবাবুর নাম পান তাঁরা। সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনায় তাঁর যোগ আছে বলেও দাবি করা হয়। ঘটনার দিন কয়েক আগে আনন্দপুরের গুলশান কলোনিতে থাকতে শুরু করেছিলেন ফুলবাবু। তবে কসবাকাণ্ডে তাঁর কী ভূমিকা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকেই কসবাকাণ্ডে বিহার-যোগের দাবি করে আসছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছিল, গুলজ়ারই সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করতে বিহারে তাঁর এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ওই ব্যক্তি সাহায্যেই ‘শুটার’ ভাড়া থেকে শুরু করে অস্ত্র জোগাড় করেন গুলজ়ার। সুশান্তকে খুন করতে বিহার থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। আদালতেও তদন্তকারীরা বিহার-যোগের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁরা আরও বলেন, ‘‘প্রয়োজনে বিহারে গিয়েও অনুসন্ধান করবেন।’’
গুলজ়ার, যুবরাজ, আহমেদ ছাড়াও সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনার ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল এবং স্কুটার উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় আরও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে সেই সব অস্ত্রের নাগাল এখনও পায়নি পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে আর কারা কারা জড়িত তার খোঁজও চলছে।