ফাইল চিত্র।
অন্যান্য তালিবান নেতার মতো তাঁর নাম খুব একটা শোনা যায়নি। জনসমক্ষে আসা তিনি খুব একটা পছন্দ করতেন না। তাই গত ২০ বছর ধরে আড়ালে থেকেই দলকে মজবুত করার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি মোল্লা হাসান আখুন্দ। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের জঙ্গি তালিকায় আখুন্দের নাম রয়েছে। তাঁকেই সরকারের মাথায় বসাতে চাইছে তালিবান। মনোনয়নও জমা পড়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র।
কে এই হাসান আখুন্দ?
পুরো নাম মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ। তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। কন্দহর প্রদেশের বাসিন্দা। খুব একটা প্রচারের আলোয় আসেননি কখনও। কিন্তু দলের মধ্যে তাঁর বিপুল প্রভাব রয়েছে। তালিব সদস্যদের কাছে যথেষ্ট সন্মাননীয়ও বটে। স্বল্পভাষী এই তালিব নেতা তাঁর নেতৃত্বের আদব কাজদার জন্য দলে খুবই জনপ্রিয়। গোঁড়া ধার্মিক। তাঁর এই চারিত্রিক বৈশিষ্টের জন্য সহজেই দলের সদস্যদের মন জয় করতে পেরেছেন আখুন্দ।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬-এ তালিবান যখন ক্ষমতায় এসেছিল, সে সময় আখুন্দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁকে প্রথমে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং পরে উপপ্রধানমন্ত্রী হন। এ ছাড়াও কন্দহরের গভর্নরও ছিলেন আখুন্দ। আমেরিকার গোয়েন্দাদের মতে, আখুন্দকে সবচেয়ে দক্ষ কম্যান্ডার হিসেবে মনে করে তালিবান। পড়াশোনা পাকিস্তানের মাদ্রাসায়।
২০০১-এ আখুন্দকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয় তালিবান। প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, অভ্যন্তরীণ বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট এবং সংস্কৃতি— এ সব দায়িত্ব সামলেছেন আখুন্দ। ২০১০-এ তিনি ধরা পড়েছিলেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়।শেখ হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাসান আখুন্দ।