তালিব যোদ্ধা। ছবি—পিটিআই।
এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীদের হুমকি দেওয়া এবং মারধরের অভিযোগ উঠল তালিবানের বিরুদ্ধে। এমনকি আফগানিস্তানে থাকা রাষ্ট্রপুঞ্জের বেশ কয়েকটি অফিসে লুঠপাট চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন নথিতে এ রকম এক ডজন ঘটনার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রবিবার আফগানিস্তানে থাকা রাষ্ট্রপুঞ্জের এক কর্মী কাবুল বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। পথে তালিবান তাঁর গাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং গাড়ির ভিতরে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিচয়পত্র দেখতে পায়। এর পরই তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সোমবারও তালিবানি ‘মস্তানি’র মুখোমুখি হতে হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের এক কর্মীর পরিবারের সদস্যদের। তিন জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই কর্মীর বাড়িতে যান। সে সময় অবশ্য তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ওই ব্যক্তির ছেলেকে বাবার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে তাঁরা। ছেলে কিছু না বললেও ওই ব্যক্তিরা রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, ‘‘আমরা জানি উনি কোথায় এবং কী কাজ করেন।’’
সম্প্রতি একই অভিজ্ঞতা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের হয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করা এক আফগান মহিলার। তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক মহিলা আমার মতো ভয় পাচ্ছেন। কাজ করার জন্য আমাদের শাস্তি দেওয়া হলে সন্তানদের কী হবে? পরিবারের কী হবে?’’ কর্মীদের মনোবল বাড়াতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্টেনিয়ো গুতেরেস একটি ভিডিয়ো বার্তাও দিয়েছেন মঙ্গলবার।
তবে এই সব তথ্য সামনে আসা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টিফানে দুজারিক বলেছেন, ‘‘কাবুলের দায়িত্বে যাঁরা আছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া তাঁদের কর্তব্য।’’ তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে কর্মরত প্রায় ৩০০ বিদেশি কর্মীকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে কাজাখাস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রায় তিন হাজার আফগান, যাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জের হয়ে কাজ করেন তাঁরা এখনও সে দেশেই রয়েছেন। অন্য দেশগুলির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপু়ঞ্জের ওই মুখপাত্র।