কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলাকারী।
ভারতে পাঁচ বছর আগে গ্রেফতার হয়েছিল কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলাকারী। নয়াদিল্লির রক্তচাপ বাড়িয়ে সম্প্রতি এমনই দাবি করল আইএস-কে (খোরাসান) জঙ্গিগোষ্ঠী।
গত ২৬ অগস্ট কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। বিমানবন্দরের বাইরে তখন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ দেশ ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমেরিকা উদ্ধারকাজ চালানোর সময়ই ওই দিন পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে আমেরিকার ১৩ জন সেনা-সহ নিহত হয়েছিলেন ১৮০ জন।
সেই আত্মঘাতী হামলার হোতা আব্দুর রহমান আল-লগরি পাঁচ বছর আগে দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছিল। আইএস-কে দাবি করেছে, সেই সময় দিল্লিতে বড়সড় হামলার জন্য তাকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে গ্রেফতার হয় আব্দুর। বেশ কিছু সময় জেলবন্দি ছিল সে। ছাড়া পাওয়ার পরই আফগানিস্তানে পালায় সে। তাদের মুখপত্রে এমনই দাবি করেছে আইএস-কে।
এ বার ভারতের দিকে নজর ঘোরাতে শুরু করেছে আইএস-কে। ২০২০ থেকে তারা পর পর কয়েকটি দফায় প্রচার পুস্তিকা বার করেছে। তার মধ্যে একটি সংখ্যায় দিল্লির হিংসার ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে তারা। এই প্রচার পুস্তিকা প্রকাশের পরই আইএস-কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কাশ্মীরি দম্পতি জাহানজেব সামি এবং হিন্দা বশির বেগ-কে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। আরও তিন জনকেও পরবর্তী কালে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আইএস-কের প্রচার পুস্তিকার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দেশ জুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ১২ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারত নিয়ে আইএস-কে সরব হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি এই জঙ্গিগোষ্ঠীও ক্রমে সক্রিয় হচ্ছে?