পঞ্জশিরে সরকারি ভবনে উড়ছে তালিবানের পতাকা ছবি: টুইটার থেকে।
পঞ্জশির এখন তাদের দখলে বলে দাবি করেছে তালিবান। রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জবিরুল্লা মুজাহিদ সোমবার সকালে দাবি করেছেন, ‘আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ হিসাবে পঞ্জশির এখন আমাদের দখলে। গোটা আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান।’ যদিও এই দাবির পাল্টা উত্তরের জোট জানিয়েছে, মিথ্যা দাবি করছে তালিবান।
তালিবানের দাবির পরে ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স অব আফগানিস্তান’ টুইট করে বলে, ‘তালিবানের পঞ্জশির দখলের দাবি মিথ্যা। এখনও সেখানে প্রতিরোধ বাহিনী রয়েছে। আমরা লড়াই করছি। আমরা আফগানদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যত দিন না স্বাধীনতা ও নিজেদের অধিকার ফিরে পাব তত দিন লড়াই চলবে।’
উত্তরের জোট যা-ই দাবি করুক, সোমবার বেলা বাড়তেই পঞ্জশিরের সরকারি ভবনে তালিবানি পতাকা উড়তে দেখা যায়। বিক্ষিপ্ত হিংসার খবরও আসতে থাকে নেটমাধ্যমে।
রবিবারই যুদ্ধবিরতির ডাক দেয় উত্তরের জোট বা নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাবও দেয় তারা। তখনই স্পষ্ট হয়েছিল পঞ্জশিরে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে আমরুলা সালেহ্ ও আহমদ মাসুদের প্রতিরোধ বাহিনী। তার পরেই সোমবার সকালে তালিবান দাবি করল, পঞ্জশিরের দখল নিয়েছে তারা। রবিবার ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স অব আফগানিস্তান’ একটি বিবৃতি জারি করে বলে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চালাতে রাজি প্রতিরোধ বাহিনী। আশা করছি তালিবান আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমস্যা সমাধানের পথে এগোবে। পঞ্জশিরে তালিব যোদ্ধারা ক্রমাগত আক্রমণ করছেন। ফলে দু’তরফেই অনেক প্রাণহানি হয়েছে। প্রতিরোধ বাহিনী যুদ্ধ শেষ করতে চায়। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে।’
কাবুল-সহ আফগানিস্তানের ৩৩টি প্রদেশ দখলের পরে পঞ্জশির দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে তালিবান। প্রতিদিনই লড়াই চলছিল তালিবান ও নর্দার্ন অ্যালায়েন্স মধ্যে। তালিবান আগেও দাবি করেছিল পঞ্জশির তাদের দখলে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দেন সালেহ্। এর মধ্যেই রবিবার যুদ্ধে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি-র নিহত হওয়ার খবর আসে। তার পরেই তালিবানের এক মুখপাত্র জানান, পঞ্জশিরের আরও একটি প্রদেশ তাঁদের দখলে চলে এসেছে। এ বার পুরো পঞ্জশির দখলের দাবি করল তারা।