ছবি: রয়টার্স।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদে এমনই জানাল ভারত। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। সে দেশের নাগরিক এবং মহিলাদের নিরাপত্তাও উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গত দু’দশক ধরে যে উন্নয়ন দেখেছিল আফগানিস্তান, আগামী দিনে সেই ধারা বজায় থাকবে কি না, তা নিয়েও বিস্তর সংশয় তৈরি হয়েছে।’’
আফগান শিশুদেরও ভবিষ্যৎ কতটা সুরক্ষিত হতে চলেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারই বা কতটা সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিষয়গুলিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নজরে আনার চেষ্টা করেছেন তিরুমূর্তি। তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই জরুরি ভিত্তিতে চিন্তাভাবনা শুরু করে পদক্ষেপ করা উচিত।’’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই আশঙ্কা অমূলক নয়। কারণ আফগানিস্তান সরকার পরিচালনার দায়িত্ব যাঁদের হাতে তাঁদের অনেকেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত। শুধু তাই নয়, যে ভাবে শরিয়তি আইনের বাঁধনে গোটা আফাগনিস্তানকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা চলছে, তার বিরূপ প্রভাব আফগান নাগরিকদের জীবনে পড়তে পারে, সেই আশঙ্কার কথাও রাষ্ট্রপুঞ্জে জানিয়েছে ভারত। তাদের আশঙ্কা, এর ফলে আফগানিস্তানে মানবাধিকার, মহিলাদের নিরাপত্তা সঙ্কটের মুখে পড়বে।
বৃহস্পতিবারই ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। আফগানিস্তানের মাটিকে যাতে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার না করা হয়, তা নিয়ে সব সদস্যই সহমত পোষণ করে। রাশিয়া এবং চিন তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই দুই দেশের প্রতিনিধিকে পাশে বসিয়েই ভারত দাবি করেছে, আফগানিস্তানের মাটি যাতে অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজে ব্যবহার না করা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে এই দাবি তুলে ধরা এমন উত্তপ্ত আবহে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের জয় বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।